তারই এক আত্মীয়। তাও আবার অপ্রাপ্তবয়স্ক। তার হাতে ধর্ষণের শিকার হল ৪ বছরের এক শিশুকন্যা। ধর্ষণের জেরে ওই শিশুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। দ্রুত তাকে তার পরিবারের লোকজন দেরাদুনের দুন হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশে খবর দেওয়ার সুযোগ পাননি তাঁরা। ওই অবস্থায় রক্তাক্ত এক শিশুকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দেওয়ার জায়গায় চিকিৎসকেরা তাকে ভর্তিই নিতে চাননি বলে অভিযোগ করেছে শিশুর পরিবার। তাদের দাবি, চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন যেহেতু কোনও এফআইআর হয়নি, তাই তারা ওই শিশুকে ভর্তি করতে পারবেননা।
হাসপাতালে এমন কাণ্ডের কথা কানে যেতেই দ্রুত সেখানে হাজির হন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসকদের দ্রুত ওই শিশুর চিকিৎসা শুরু করতে বলেন। এরপর শুরু হয় ওই শিশুর চিকিৎসা। তবে এটা ভাল যে চিকিৎসার পর এখন শিশুটি অনেকটা সুস্থ। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলায়। এই ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যের ডিজি অশোক কুমার। তিনি দ্রুত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় চিকিৎসকেরা সত্যিই ওই শিশুকে প্রথমে ভর্তি নিতে অস্বীকার করেছিলেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)