শনিবার পয়লা চৈত্র। চৈত্র মাসের শুরু। আকাশে বাতাসে বসন্তের গন্ধ। গ্রীষ্মের গরম এখনও কামড় বসায়নি। তার আগেই ৪ হাজার গ্রামের মাটি ফেটে চৌচির। চরম খরার কবলে ধুঁকছেন গ্রামবাসীরা, কৃষকরা। মাটিতে একফোঁটা জল নেই। শুকিয়ে গেছে চারধার। যেখানে বসন্তে গাছে গাছে নতুন পাতা, ফুল চোখ জুড়িয়ে দেয়, সেখানে এই ৪ হাজার গ্রাম জুড়ে এখন শুধুই শূন্যতা।
এমনই অবস্থা মধ্যপ্রদেশের ৫২টি জেলার মধ্যে ৩৬টি জেলার ৪ হাজার গ্রামের। গত ২ বছর বর্ষায় তেমন বৃষ্টি পায়নি এসব জায়গা। সেই কম বৃষ্টির জের এখন চরম আকার নিয়েছে। শুকিয়ে গেছে চাষের মাটি। এই অবস্থা থেকে গ্রামবাসীদের বার করার জন্য প্রশাসনের তরফে দরকার এখনই কোনও পদক্ষেপ। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি চালু হয়ে যাওয়ায় এখন তেমন কোনও পদক্ষেপও করতে পারবে না তারা।
এই ৪ হাজার গ্রামকে জল দেয় তাদের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট-বড় ৪০টি নদী। এসব নদীর জল থেকেই হয় সেচের কাজ। কিন্তু গত ২ বছর ভাল বৃষ্টি না হওয়ায় এখন সেই ৪০টি নদীই গেছে শুকিয়ে। নদীতে জল না থাকায় ভয়ংকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।
এরই সঙ্গে সেচের জন্য জলাধার থেকে যে জল আনা হয় তাও শুকিয়ে কাঠ। নির্বাচনের জন্য মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হয়ে গেছে। অথচ এই গ্রামগুলির এমনই অবস্থা যে এখানে জলের ব্যবস্থা করা শীঘ্রই প্রয়োজন। ফলে রাজ্য সরকার এই অবস্থায় হয়তো নির্বাচন কমিশনের কাছে এক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানাতে পারে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)