গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্করের মৃত্যুর আগে থেকেই সেখানে সরকার নিয়ে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হয়। অসুস্থ পারিক্করকে সরিয়ে নতুন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য বৈঠকও হয়। এরমধ্যেই গত রবিবার মৃত্যু হয় পারিক্করের। ফলে গোয়ার নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাছাই কার্যত বাধ্যতার রূপ নেয়। এরমধ্যেই আবার গোয়ার সরকার গঠনের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি ও তার ২ শরিক দল মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি ও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির তরফেও মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁদের নেতাকে বসানোর দাবি ওঠে।
চূড়ান্ত অচলাবস্থার মধ্যেই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে দলের তো বটেই, এমনকি শরিক দলের বিধায়কদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরী। কিন্তু মধ্যস্থতা সফল হয়েও হচ্ছিলনা। সোমবারটা টানা এমনই চলতে থাকে। দিনভর টানাপোড়েনের মধ্যেই গোয়ায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মনোহর পারিক্করকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।
অনেক রাতে গিয়ে অবশেষে সব জট কাটে। রাত প্রায় ১টা ৫০ মিনিটে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন বিজেপি বিধায়ক প্রমোদ সাওয়ান্ত। তাঁর সঙ্গে শপথ নেন অন্য মন্ত্রীরাও। লোকসভা ভোটের মুখে যেভাবে গোয়ায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল তার একটা সমাধানসূত্র বার করে বিজেপি নিজের জায়গা ধরে রাখল এই সমুদ্রতীরের রাজ্যে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা