চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। ভারতে কাশ্মীরি শালওয়ালারা অনেক জায়গায় শাল, কার্পেট বেচতে ঘুরে বেড়ান। তাই তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখেন না মানুষজন। শীতের আগে থেকে শীতের শেষ পর্যন্ত তাঁদের উপস্থিতি অলিগলিতে। ফলে সেই কাশ্মীরি শালওয়ালা সেজে সকলের চোখে ধুলো দেওয়াটা সহজ ছিল বলেই হয়তো মনে করেছিল কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ-এর জঙ্গি সাজ্জাদ খান। তাই খোদ রাজধানীতে শালওয়ালা সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে।
পুলিশের কাছে কিন্তু গোপন সূত্রে খবরটা পৌঁছে গিয়েছিল। দিল্লি পুলিশ তখনই সতর্ক হয়ে যায়। তারপর হোলির রাতেই দিল্লির লালকেল্লার সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় সাজ্জাদ খানকে। শালওয়ালা সেজেও তার শেষ রক্ষা হয়নি। পুলওয়ামা কাণ্ডের দায় স্বীকার করা জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সাজ্জাদ খানকে এভাবে হাতে পাওয়া দিল্লি পুলিশের কাছে একটা বড় সাফল্য।
জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ খানের কাছ থেকে পুলওয়ামা কাণ্ড সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পুলওয়ামা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জইশ জঙ্গি মুদাসির আহমেদ খান এর সঙ্গে সাজ্জাদ খানের ঘনিষ্ঠতা ছিল। এছাড়া ভারতীয় সেনার হাতে খতম জইশ জঙ্গি আহমেদ খানের সঙ্গেও তার ওঠাবসা ছিল। সাজ্জাদ খানকে জেরা করলে আরও অনেক তথ্য মিলবে বলেই মনে করছে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর শুক্রবার ২৭ বছর বয়সী সাজ্জাদ খানকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ২৯ মার্চ অবধি এনআইএ-র হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালতকে এনআইএ জানায় যে সাজ্জাদ পুলওয়ামা কাণ্ডের মূল চক্রী মুদাসির আহমেদ খানের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। বিচারক সেই আর্জি মঞ্জুর করে সাজ্জাদকে এনআইএ-র হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)