National

মিথ্যার নাটকীয় জাল সাজিয়েও শেষরক্ষা হল না, পুলিশের জালে ২

পুলিশের কাছে ফোন আসে যে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। কাপাশেরা ফার্ম হাউসের কাছে রাস্তার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে সে। একজন সহ নাগরিক হিসাবে একজনের বিপদে অন্যের এমনভাবে পাশে দাঁড়ানোর নজির আজকাল তেমন চোখে পড়েনা।

পুলিশও প্রথমে সেটাই ভেবেছিল। তারপর পুলিশ পাল্টা ফোন করে। জানতে চায় সে এখন কোথায়। নিতিন যাদব নামে ওই বছর ২৫-এর যুবক জানায় সে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে হাসপাতালের পথে। কিন্তু কোন হাসপাতালে সে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর কোনও সঠিক উত্তর সে পুলিশকে দিতে পারেনি। এখান থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে পুলিশের।


তদন্তে নেমে পুলিশ দিল্লির কাপাশেরায় এফআইএমটি কলেজের কাছে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পারে। সেখানে একটি দেওয়ালের গায়ে কিছুটা রক্তের ছিটেও পাওয়া যায়। পুলিশ নিতিনকে প্রশ্ন করলে নিতিন জানায় সে ওই ব্যক্তিকে দিল্লির দ্বারকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানতে পারে মৃত ব্যক্তির নাম ভোজ নারায়ণ। বয়স ৪৮ বছর। তিনি নেপালের বাসিন্দা। এখানে কাপাশেরা গ্রামে ঘর ভাড়া করে থাকতেন ভোজ।

পুলিশ নিতিনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাতেই একসময়ে ভেঙে পড়ে সে। খুনের কথা কবুল করে। সে জানায়, কয়েকমাস আগে নারায়ণের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার করেছিল সে। হালে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নিতিনকে চাপ দিচ্ছিলেন নারায়ণ। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতে সে লোহার রড দিয়ে মেরে নারায়ণকে হত্যা করে গত ২১ মার্চ রাতে। তাকে এই কাজে এক নাবালক সঙ্গী সাহায্য করেছিল বলেও জানায় নিতিন। পুলিশ নিতিনকে গ্রেফতার করেছে। তার নাবালক সঙ্গীকেও ধরেছে পুলিশ।


(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button