বোর্ডিং স্কুল। সেখান থেকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘুরতে। সেই ট্রিপে ছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বাসু যাদব। অভিযোগ ঘুরতে বেরিয়ে সে একটি দোকান থেকে একটি বিস্কুটের প্যাকেট চুরি করে। কিন্তু ধরা পড়ে যায়। সেই ঘটনা সামনে আসতেই বেড়ানো মাঝপথে বন্ধ করে সকলকে বোর্ডিংয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। তলব করা হয় বাসুকে। সেখানে উঁচু ক্লাসের ছাত্ররা তাকে ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে মারতে শুরু করে। মারের মাঝে মাঝে তার গায়ে ঢেলে দেওয়া হয় বরফ ঠান্ডা জল। তারপর ফের মার।
এভাবে চলার পর বাসু অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে স্কুলের তরফে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ এই ঘটনার পর স্কুলের উচিত ছিল পুলিশকে ঘটনা জানানো। তা না করে তারা বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে স্কুলের কম্পাউন্ডের মাটি খুঁড়ে সেখানে বাসুর দেহ পুঁতে দেয়।
বাসুর মৃত্যু নিয়ে পরে সেখানে যান উত্তরাখণ্ডের শিশু অধিকার রক্ষার্থে তৈরি সরকারি কমিশন-এর চেয়ারপার্সন উষা নেগি। রানিপোখরির ওই স্কুল ঘুরে দেখে পুলিশকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ এক এক করে ঘটনা সম্বন্ধে অবহিত হয়। গ্রেফতার করা হয় ওই বোর্ডিং স্কুলের ওয়ার্ডেন, ম্যানেজার, শরীর শিক্ষার শিক্ষক ও ২ ছাত্রকে।
স্কুলের মালিক যদিও ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা। তার খোঁজ চলছে। উষা নেগি ওই ব্যক্তিকে দ্রুত খুঁজে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে। এছাড়া পুলিশকে গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)