National

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে খুন, বিয়ের ৩ মাসের মধ্যে মিলল যুবতীর দেহ

এক যুবতীর দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল গুরুগ্রামে। যুবতীর ৩ মাস হল বিয়ে হয়েছিল। আর বিয়ের ৩ মাসের মধ্যেই তাঁর দেহ উদ্ধার হল। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল দেহটিকে। পুলিশ ওই যুবতীর পরিচয় জানতে পেরেছে। তিনি আদপে অসমের বাসিন্দা। বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র নামে এক ব্যক্তিকে। তারপর ধর্মেন্দ্রর হাত ধরেই গুরুগ্রামে চলে আসেন তিনি। মৃতার নাম কাজল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে কাজলের দেহ গুরুগ্রামের নাথুপুর গ্রামে পাওয়া যায়। মৃতদেহ ঘিরে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এদিকে দেহ উদ্ধারের পর কাজলের স্বামীর খোঁজ করতে গিয়ে প্রথমে তাকে পায়নি পুলিশ। পলাতক ধর্মেন্দ্রর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পরে তার নাগাল পায় গুরুগ্রাম পুলিশ।


ধর্মেন্দ্রর দাবি যে তার স্ত্রী কাজলের সঙ্গে অন্য কারও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে তার সন্দেহ। তাই সে গত রবিবার নিজের দাদা সতীশের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে কাজলকে সঙ্গে নিয়ে আরাবল্লী পাহাড় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানেই কাজলের সঙ্গে ধর্মেন্দ্র ঝগড়া চরমে ওঠে। এর পর ধর্মেন্দ্র একটি পাথর দিয়ে কাজলের মাথা থেঁতলে দেয়। এমন ভাবে সে কাজলের মুখ থেঁতলে দেয় যাতে তাঁর পরিচয় জানা না যায়

সোমবার সকালে ধর্মেন্দ্র সতীশকে ফোন করে। ফোনটি ধরেন সতীশের স্ত্রী। তাঁর কাছেই ধর্মেন্দ্র নিজের দোষ স্বীকার করে ও কান্নায় ভেঙে পড়ে। সতীশের স্ত্রী বাড়ির মালিককে পুরো ঘটনা জানান। তাঁর সাহায্য নিয়েই তিনি পুলিশে খবর দেন।


(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button