নয়া দিল্লি থেকে বারাণসী। এটাই ছিল রুট। সেই রুটে যাত্রীদের নিয়ে ছুটে যাচ্ছিল একটি বাস। আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ছুটে যাচ্ছিল বাসটি। রবিবার সকালে সেই ছুটে চলা থামল মাঝপথেই। রাস্তায় একটি অন্য গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। ওভারটেক করার পরই উল্টো দিক থেকে আসা একটি দুরন্ত গতির ট্রাক নজরে পড়ে বাস চালকের। কিন্তু তখন আর কিছু করার নেই। দ্রুত গতির বাস মুখোমুখি গিয়ে ধাক্কা মারে উল্টো দিক থেকে আসা গতিতে থাকা ট্রাককে। সংঘর্ষের শব্দে আশপাশের মানুষ আঁতকে ওঠেন। বাসের একটা বড় অংশের দুমড়ে মুচড়ে কদাকার অবস্থা হয়।
ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের মইনপুরী জেলার কারথাল এলাকায়। দ্রুত স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধারে হাত লাগান। হাজির হয় পুলিশও। কিন্তু বাসটি এতটাই দুমড়ে গিয়েছিল যে যাত্রীদের সেখান থেকে বার করতে হিমসিম খেতে হয় উদ্ধারকারীদের। বাসে আটকা পড়া আহত রক্তাক্ত যাত্রীদের আর্তনাদে চারপাশ ভারী হয়ে ওঠে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় একে একে যাত্রীদের বার করে আনা হয়। ঘটনাস্থলেই ৭ জনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে বাসের চালকও রয়েছেন। ৩০ জন গুরুতর আহত। তাঁদের সাইফাই শহরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঠিক কী ঘটেছিল তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার জেরে আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের মত ব্যস্ত রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে ওই রাস্তায় রবিবার সকালেও যানজটের সৃষ্টি হয়।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)