তখন ভোর ৫টা। থানার গারদে বন্দি মনু যাদব প্রহরারত কনস্টেবল দীপক কুমারকে ডাক দেয়। গারদের টয়লেট খারাপ হয়েছে। তাই টয়লেট করার জন্য অন্য কোনও টয়লেটে তাকে নিয়ে যেতে অনুরোধ করে সে। টয়লেট বলে কথা! তাই দীপক কুমার মনুকে গারদ থেকে বার করে থানার দোতলার টয়লেটে নিয়ে যান। আর ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে দীপক কুমারকে এক ধাক্কা মেরে থানার দোতলার বারান্দা থেকে লাফ দেয় মনু যাদব। লাফ দিয়ে পড়েই ছুটতে শুরু করে সে।
তাকে এভাবে ধাক্কা দিয়ে ফেলে একটা বন্দি পালাবে! এটা মেনে নিতে পারেননি দীপক কুমার। তিনিও কিছু না ভেবেই দোতলা থেকে একইভাবে লাফ দেন। তারপর পিছু ধাওয়া করেন মনু যাদবের। বেশ কিছুটা ছোটার পর মনুকে পাকড়াও করেন দীপক। ততক্ষণে তাঁদের পিছনে ছুটে চলে এসেছেন থানার অন্য পুলিশকর্মীরাও। সকলে মিলে মনুকে ধরে থানায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। এদিকে দোতলা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে পিছু ধাওয়া করতে ছুটে পা এবং হাঁটুতে গুরুতর চোট পান দীপক কুমার। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
চোরের পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা, আর পুলিশ বীরবিক্রমে তাকে পাকড়াও করা। এমন দৃশ্য সিনেমার পর্দায় দারুণ লাগে। কিন্তু হুবহু তেমন ঘটনা বাস্তবে ঘটতে দেখলেন গুরুগ্রামের সিটি পুলিশ স্টেশনের পুলিশ কর্মী সহ আশপাশের মানুষজন। গত ১৪ এপ্রিল মনু যাদব সহ ৩ জনকে একটি কাপড়ে দোকানে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়। পুলিশি হেফাজত থেকেই পালানোর চেষ্টা করে মনু।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)