একেবারে ছুটির মেজাজেই স্ত্রী ও যমজ ছেলেকে নিয়ে নদীর ধারে বেড়াতে গিয়েছিলেন ফোটো স্টুডিও-র মালিক সর্বানন। তাঁদের এক পারিবারিক বন্ধুও মেয়েকে সঙ্গে করে তাঁদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সকলে বসে গল্প করছিলেন নদী পাড়ে। গল্প করতে করতে সকলেরই নদীতে একটু স্নান করার ইচ্ছা হয়।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। সকলেই নেমে পড়েন নদীর জলে। পাড়ের কাছেই ডুব দিয়ে স্নানে মেতে ওঠেন তাঁরা। বড়দের সঙ্গে মেতে ওঠে ৩ স্কুল পড়ুয়াও। সর্বাননের যমজ ছেলেরা এবং পারিবারিক বন্ধুর মেয়ে। স্নানের মাঝে আচমকাই সর্বাননের স্ত্রী তলিয়ে যেতে থাকেন।
তিনি বুঝতেও পারেননি টলটলে নদীর জলের তলায় লুকিয়ে আছে মৃত্যু কূপ। এক বিশাল গর্ত। সেই গর্তে ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তাঁকে বাঁচাতে অন্যরা আপ্রাণ লড়াই শুরু করেন। এমনকি বাচ্চারাও চেষ্টা শুরু করে। আর তাতে বিপত্তি আরও বাড়ে। ওই মহিলা তো বটেই এমনকি জলের তলার গভীর কূপে তলিয়ে যান অন্যরাও।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে তামিলনাড়ুর নামাখাল জেলার একটি নদীর ধারে। পরে দমকলকর্মীরা ও স্থানীয় মানুষজন অনেক চেষ্টায় দেহগুলি জলের তলা থেকে বার করে আনেন। ৩ স্কুল পড়ুয়া সহ ৬ জনের দেহই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)