পাথর ভাঙার কারখানা। সেই কারখানায় শ্রমিক ছিলেন পুনুলাল, ওরফে পুনু। পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার তিনি কারখানার মালিক বোধা মাহাতর থেকে পারিশ্রমিক দাবি করেন। তখন পুনু ও বোধার মধ্যে বচসা বাঁধে। প্রবল আকার নেয় সেই বচসা। এরপর গত মঙ্গলবার পুনুকে কারখানা মালিকের ছেলে রবীন্দ্র মাহাত তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে পুনু পুলিশকে জানান যে, রবীন্দ্র তার ৩ সাগরেদকে নিয়ে তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। এরপর পুনুর সারা দেহে কেরোসিন ছিটিয়ে তারা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে পুনু মারা যাওয়ার আগে পুলিশকে জানান। জ্বলন্ত পুনুকে এরপর রবীন্দ্র ও তার সাগরেদরা একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ঝোপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন স্থানীয় মানুষ আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুনুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানেই পুলিশকে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেওয়ার পর মারা যান পুনু।
ঘটনার পর পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছে। পাথর ভাঙার কারখানার মালিক বোধা মাহাত ও তার ছেলে রবীন্দ্র মাহাত পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। গত বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার ইচাক থানা এলাকায়।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)