মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে ১৯ জন ছাত্রছাত্রী আত্মঘাতী হল শুধুমাত্র তেলেঙ্গানাতে। কারণ মোটামুটি পরিস্কার। তেলেঙ্গানার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার ফল প্রকাশ পাওয়ার পরই শুরু হয়েছে আত্মঘাতী হওয়া। ১১ ও ১২ ক্লাসের ইন্টারমিডিয়েটের ফল প্রকাশ পাওয়ার পর শুরু হয়েছে এই কাণ্ড। কেউ আত্মঘাতী খুব খারাপ ফলের জন্য। কেউ হয়ত একটি বিষয়ে অনুত্তীর্ণ। কেউ আবার ভাল নম্বর করলেও তাঁর আশানুরূপ ফল না হওয়ায় মানসিক অবসাদে চলে গিয়ে আত্মঘাতী। কারণ নানা, তবে তার জেরে পদক্ষেপটা একই।
কারও খারাপ হয়েছে ইকোনমিক্স, কারও খারাপ হয়েছে, ফিজিক্স, কারও পছন্দ হয়নি নিজের রেজাল্ট। শৈলজা নামে এক ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে কারণ তাঁর মনে হয়েছে যে তাঁর অঙ্ক, ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি-র নম্বর ভাল হয়নি। প্রসঙ্গত ১০০০ নম্বরের মধ্যে শৈলজার প্রাপ্ত নম্বর ৮৪৭। আবার ওয়ারাঙ্গাল জেলার উমেশ চন্দ্র অনুত্তীর্ণ হওয়ার পর সেই যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন এখনও তাঁর কোনও খোঁজ নেই। গত ১৮ এপ্রিল ইন্টারমিডিয়েটের রেজাল্ট বেরিয়েছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক আত্মঘাতী হওয়া, বাড়ি ছেড়ে ভ্যানিস হয়ে যাওয়া।
তেলেঙ্গানা ইন্টারমিডিয়েট বোর্ড রেজাল্ট বারই করেছে ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ উঠেছে। যা কিয়দংশে মেনেও নিয়েছে বোর্ড। বৃহস্পতিবার বিরোধীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তারমধ্যে এভাবে একের পর এক ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যা বিরোধীদের সুরকে আরও চড়া করেছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)