একে তরতর করে চড়ছে পারদ। গরম দিনে দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর সেই অবস্থায় ক্রমশ জলকষ্ট প্রবল হচ্ছে তাজের শহর আগ্রায়। ভোটের বাজারে এখন রাজনৈতিক নেতাদের মুখে শুধুই প্রতিশ্রুতির বন্যা। তবে তাজের দিন ফেরে না। বদলায় না গরমে জলকষ্টের চিত্র। বরং দিনকে দিন তা আরও খারাপ হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের ন্যূনতম চাহিদা স্বচ্ছ পানীয় জল। তা থেকেই এই শহরের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্তত এমনই দাবি স্থানীয়দের। অথচ সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক টানে তাজমহল। ফলে আগ্রায় সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তাঁদেরও জলের প্রয়োজন। সেই জলের যোগান দিয়ে শহরের মানুষকে প্রয়োজনীয় জল দেওয়া নিয়ে কোনও কালেই নাকি মাথা ব্যথা নেই রাজনৈতিক নেতাদের।
তাজের গা দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা নদী। যমুনা নদী নামটা শুনলে যতটা সুন্দর লাগে যমুনা দর্শন কিন্তু মোটেও ততটা সুন্দর নয়। নদী নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মী শ্রাবণ কুমার সিংয়ের দাবি যমুনা দিয়ে সারাক্ষণ বয়ে চলেছে যাবতীয় কারখানার বর্জ্য। ফলে জলের অবস্থা ভয়ানক। সেইসঙ্গে প্রতি বছরই জলস্তর নিচে নামছে। গ্রীষ্মকালে যমুনার জল প্রতি বছরই কমছে। ভয়ংকর চেহারা নিচ্ছে নদীটা।
সেইসঙ্গে আগ্রায় জলকষ্টের আরও একটা বড় কারণ আদ্যিকালের সব পাইপলাইন। যা প্রায়শই এখানে ফাটছে, ওখানে ফাটছে। মরচে ধরে গেছে লোহার পাইপে। ফলে ফাটল ধরছে। জল বেরিয়ে যাচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে পানীয় জলের বণ্টন পরিষেবা। সব মিলিয়ে ভোটের উত্তাপ ছাপিয়ে এখন আগ্রার সবচেয়ে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে চরম জলকষ্ট।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)