১২ ক্লাসের পরীক্ষায় কমার্সে ৯৯, সিভিক্সে ৯৬, ইকনমিক্সে ৯৫, ইংরাজিতে ৬৮ এবং তেলেগুতে ০ নম্বর পান গজ্জি নব্যা নামে এক ছাত্রী। তেলেঙ্গানার ১২ ক্লাসের পরীক্ষা বোর্ড যে রেজাল্ট বার করে তাতে তেলেগুতে প্রাপ্ত নম্বর দেখে মাথা ঘুরে যায় নব্যার। ১১ ক্লাসের বোর্ডের পরীক্ষাতেও তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল তেলেগুতে ৯৮। সেখানে ১২ ক্লাসের পরীক্ষায় ০ কীভাবে তিনি পেতে পারেন?
নম্বর দেখে আকাশ ভেঙে পড়ে মাথায়। ০ তিনি পেতেই পারেন না। এই ঘটনা কানে যায় একটি সংবাদপত্রের। তেলেগু সেই সংবাদপত্র নব্যার এই আজব নম্বর প্রাপ্তির কথা প্রচার করে। বিষয়টি নজরে আসে বোর্ডের। বোর্ড ফের নব্যার তেলেগু খাতা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়। ফের তাঁর খাতা পরীক্ষার পর দেখা যায় নব্যার পাওয়ার কথা ৯৯ নম্বর। সেটাই তাঁর প্রাপ্য। অথচ তাঁকে ০ দিয়েছেন শিক্ষিকা।
তেলেঙ্গানায় বোর্ডের ১১ ও ১২ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলে গুচ্ছগুচ্ছ ভুলের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে সরব বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই খারাপ নম্বরের জেরে বা প্রত্যাশামত নম্বর না মেলায় ২১ জন ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। ফলে বোর্ডও চাপে। সরকারও চাপে। এই অবস্থায় নব্যাকে সামনে রেখে নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করল বোর্ড।
নব্যার ঘটনায় যে শিক্ষিকা তাঁর খাতা দেখেছিলেন সেই উমা দেবীকে সাসপেন্ড করেছে বোর্ড। আর যে স্কুলে উমাদেবী চাকরি করেন সেই স্কুল তাঁকে ছাঁটাই করেছে। বোর্ড উমা দেবীর পাশাপাশি খাতার স্ক্রুটিনাইজার হিসাবে থাকা বিজয় কুমারকেও সাসপেন্ড করেছে। বোর্ড জানিয়েছে উমা দেবী যে এক ছাত্রীকে খাতায় ০ দিয়েছেন তা বিজয় কুমারের চোখে পড়া উচিত ছিল।
বিরোধীদের বাড়তে থাকা চাপ। ছাত্র সংগঠনগুলির চাপ। সবমিলিয়ে বেকায়দায় পড়া তেলেঙ্গানা সরকার বাধ্য হয়েই রাজ্যের ৩ লক্ষ ২৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর খাতা নতুন করে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা