পাহাড়ি রাস্তা। একপাশে গভীর গিরিখাত। ঘন জঙ্গলে ঘেরা গিরিখাতের নিচ পর্যন্ত দেখা যায়না। কেবল ঘন বনাঞ্চল আর কালো গহ্বরের মত দেখা যায় নিচে তাকালে। সেই পাহাড়ি রাস্তা ধরেই নিত্য গাড়ির যাতায়াত। তবে খুব বেশি নয়। এ রাস্তায় গাড়ি চলাচল একটু কম। ফলে যেটুকু গাড়ি যাতায়াত করে তাতে ব্যাপক ভিড় হয়। সেই রাস্তা ধরেই মহিন্দ্রা জিপে চালক সহ ১০ যাত্রী যাচ্ছিলেন গন্তব্যে।
এমন ঝুঁকিবহুল পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালাতে হয় অতি সন্তর্পণে। আর সেখানেই হয়ত কিছুটা ফাঁকি দিয়েছিলেন জিপের চালক। পুলিশের অনুমান চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জেরেই পাহাড়ের রাস্তা থেকে পিছলে গাড়িটি রাস্তার ধার ঘেঁষে গভীর গিরিখাতে গড়াতে শুরু করে। যার ফল হয় মারাত্মক। ২৫০ মিটার নিচু গভীর খাদের দুর্গম জঙ্গলে গিয়ে আছড়ে পড়ে জিপটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহত হন ৫ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার পাধার এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, গাড়িটি যেখানে গড়িয়ে পড়ে সেখানে পৌঁছনই দায়। দুর্গম এলাকা। স্থানীয়রাই কোনওক্রমে সেখানে পৌঁছন। তাঁরাই প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে স্থানীয় প্রশাসনের তরফেও শুরু হয় উদ্ধারকাজ। তবে উদ্ধারকাজ করতে হিমসিম খেতে হয় সকলকে। এতটা দুর্গম এলাকায় সকলকে উদ্ধার করাটাই ছিল একটা চ্যালেঞ্জ।
যাঁরা মারা গেছেন বা যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা সকলেই মান্ডি জেলার রূপা গ্রামের বাসিন্দা। মৃত ৫ জনের মধ্যে ৩ জন মহিলা। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। মান্ডির যে পাধার নামক জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটে সেখানে মানুষজনের বসবাসও খুব কম।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)