৬ মাস বন্ধ থাকার পর খুলে গেল গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী মন্দিরের দরজা। শুরু হয়ে গেল চারধাম যাত্রা। আগামী বুধবার খুলে যাচ্ছে কেদারনাথ ও বৃহস্পতিবার বদ্রীনাথের দরজাও। মঙ্গলবার ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। এই শুভ তিথিতে সকালে চারদিকে গুঞ্জরিত বৈদিক মন্ত্র ও মন্দিরের দরজা খোলার অন্যান্য নিয়ম মেনে এদিন পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে যায় গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী মন্দিরের দরজা। পুণ্যার্থীদের গলায় ছিল ‘হর হর গঙ্গে’ রব।
প্রথম দিনেই চার ধামের ২ ধাম গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী মন্দিরে ছিল পুণ্যার্থীদের ঢল। এদিনই উত্তরকাশী জেলার মুখবা মন্দির থেকে গঙ্গোত্রীর বিগ্রহ ও খারসালি মন্দির থেকে যমুনোত্রীর বিগ্রহ নিয়ে আসা হয়। শীতের সময় যখন ৬ মাস গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে তখন এই ২ মন্দিরে রাখা থাকে বিগ্রহ। এখানেই হয় পূজা অর্চনা।
মঙ্গলবার মন্দিরে হাজির হওয়ার পাশাপাশি ভাগীরথী ও যমুনা নদীতে পুণ্য স্নানও করেন পুণ্যার্থীরা। অন্যদিকে চারধামের আর ২ ধাম কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ। কেদারনাথের দরজা খুলছে বুধবার। কিন্তু কেদারনাথের মন্দিরে শীতে প্রচুর তুষারপাত হয়েছে। প্রতি বছরই হয়। তবে এবার যেন একটু বেশিই হয়েছে। ২০ ফুট পুরু বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছিল মন্দির। পরে তা নিজে থেকেই গলেছে প্রায় ১৫ ফুট পর্যন্ত। এখনও প্রায় ৫ ফুট পুরু বরফের চাদরে ঢাকা চারপাশ। পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে তা অবশ্য কেটে পরিস্কার করার বন্দোবস্ত হয়েছে। তবে কেদারনাথ দর্শনে প্রথম দিকে যাঁরা যাবেন তাঁরা ভালই বরফ দেখার সুযোগ পাবেন।
কেদারনাথ দর্শনে আসা পুণ্যার্থীদের রাতে সেখানে থাকার জন্য বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার মানুষের রাত কাটানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তাঁবু খাটিয়ে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। ১১ হাজার ৭৫৫ ফুট উঁচুতে এই মন্দিরে আগামী ৬ মাস ধরে যেতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।
অন্যদিকে বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা খুলছে আগামী বৃহস্পতিবার। চিরাচরিত প্রথা মেনেই দরজা খোলা হবে। আনা হবে বিগ্রহ। সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে। এখন শুধু পুণ্যার্থীদের আসার অপেক্ষা। পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে সুরক্ষা বন্দোবস্তও পাকা করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা