ভারতীয়দের মধ্যে মদ্যপানের প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। জার্মানির এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করা খতিয়ান তেমনই দাবি করেছে। খতিয়ানে বলা হচ্ছে ভারতে কোনও একজনের মদ্যপানের পরিমাণ ছিল বছরে ৪.৩ লিটার। তা ২০১৭ সালে বেড়ে হয়েছে ৫.৯ লিটার। অর্থাৎ ব্যক্তি পিছু মদ্যপানের পরিমাণ ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু ভারত বলেই নয়, মদ্যপানের প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি চিন বা ভিয়েতনামের মত দেশেও দেখতে পাওয়া গেছে। এবং তা বাড়ছে।
খতিয়ান বলছে সারা বিশ্বেও মদ্যপান বেড়েছে। ১৯৯০ সালের হিসাবে বলছে বিশ্বে ব্যক্তি পিছু বছরে মদ্যপানের পরিমাণ যেখানে ছিল ৫.৯ লিটার, সেখানে ২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৫ লিটার। বিশ্বে মদ্যপানের মোট পরিমাণ শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ৭০ শতাংশ। যা নিয়ে চিন্তিত খোদ রাষ্ট্রপুঞ্জ।
রাষ্ট্রপুঞ্জ চাইছে বিশ্ব জুড়ে মদ্যপানের আসক্তি কমাতে। কিন্তু সেই চেষ্টা এখনও তেমন সদর্থক ফলাফল দিতে পারেনি। অন্তত এই খতিয়ান তা পরিস্কার করে দিচ্ছে। এমনকি খতিয়ান বলছে যা পরিস্থিতি তাতে ২০৩০ সালে গিয়ে বিশ্বের অর্ধেক পূর্ণবয়স্ক মানুষ মদ্যপান করবেন।
১৯৯০ সালের আগে দেখা গেছে বিশ্বের উচ্চ উপার্জনকারী দেশগুলিতে মদ্যপানের প্রবণতা ছিল। এরমধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলিতে মদ্যপান ছিল সবচেয়ে বেশি। মধ্যমানের উপার্জনকারী দেশে মদ্যপানের সে সময়ে তেমন ছড়িয়ে পড়া রেওয়াজ ছিলনা। কিন্তু তারপর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে মধ্যমানের উপার্জনকারী দেশ যেমন ভারত, চিন বা ভিয়েতনামের মত দেশগুলিতে মদ্যপানে আসক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় দেশগুলিতে মদ্যপানের প্রবণতা আগেও যা ছিল এখনও তাই আছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ কিন্তু ক্ষতিকারক মদ্যপানের বিরুদ্ধেই প্রচার করছে। তারা চাইছে এই বাড়তে থাকা মদ্যপানে লাগাম দিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা