উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের দুরবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে এদিন সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রাহুলকে একা ছাড়তে ভরসা পাননি কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা। সঙ্গে ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, গুলাম নবি আজাদ সহ কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। উত্তরপ্রদেশে ‘কিষাণ যাত্রা’ করাকালীন রাহুল গান্ধী সেখানকার কৃষকদের যে সমস্যাগুলির কথা শোনেন সেগুলিই তিনি এদিন প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। রাহুলের দাবি, কৃষকদের চরম দুরবস্থার কথা তুলে ধরার পর সে কথা মেনেও নেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এইসব কৃষকদের ঋণ মকুবের জন্য তিনি আর্জি জানালেও সে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধীকে মাঝেমধ্যে তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথাও এদিন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মাত্র দুদিন হয়েছে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। এখনও বিজেপি বুঝে উঠতে পারছেনা রাহুলের ঝুলিতে কী ব্রহ্মাস্ত্র লুকোনো আছে। রাহুলের এহেন মন্তব্যের পর অস্বস্তিতে প্রধানমন্ত্রীও। আর ঠিক তার দুদিনের মাথায় রাহুল-মোদী সাক্ষাৎ কিন্তু নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে একজোট বিরোধীরা ভাল চোখে নিচ্ছে না। এদিন নোট বাতিল নিয়ে বিরোধীদের একটি মিছিল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। সেইমত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বার হওয়ার পর কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের সাংসদদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিলে পা মেলানোর কথা ছিল। কিন্তু শেষে মুহুর্তে সেই মিছিল থেকে সরে আসেন বাম, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, ডিএমকের সাংসদরা। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন তাহলে কী চাপে থাকা প্রধানমন্ত্রী এক ঢিলে দু’পাখি মারলেন? এক, রাহুলের সঙ্গে সামনাসামনি বসে তাঁর বিরুদ্ধে ঠিক কী দুর্নীতির প্রমাণ রাহুলের হাতে আছে তা বোঝার চেষ্টা করা শুরু করলেন। দুই, বিরোধীদের মধ্যে সন্দেহের আগুন জ্বালিয়ে নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে বিরোধীজোটটাই ভেঙে দেওয়ার কৌশলকে কাজে লাগালেন। যাতে আগামী দিনে নোট বাতিল বিরোধী আন্দোলন টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যায়!