কিছুদিন আগে একটি জায়গার কাজ ছেড়ে অন্যত্র কাজে যোগ দিয়েছিলেন ২২ বছরের এক তরুণী। গত শুক্রবার সন্ধেয় গিয়েছিলেন তাঁর পুরনো কাজের জায়গায় প্রাপ্ত মাইনে নিতে। যতদিন পর্যন্ত সেখানে কাজ করেছেন ততদিনের মাইনে চেয়েছিলেন তিনি। সেসময়ে ওই রেফ্রিজারেটর সারানোর সংস্থায় বসে ছিল মালিকের ছেলে রোহিত সাক্সেনা। তরুণী রোহিতের কাছেই মাইনে চান।
অভিযোগ মাইনে চাওয়ায় ওই তরুণীকে আচমকাই মারতে শুরু করে রোহিত। মার চলতেই থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে রোহিতের বাবা এমকে সাক্সেনাও হাজির হয় সেখানে। ছেলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেও ওই তরুণীকে মারধর শুরু করে। বাবা ও ছেলের মারে ক্রমশ অচেতন হয়ে পড়তে থাকেন ওই তরুণী। কিন্তু তাতেও ছাড় পাননি। তরুণীর মুখে এরপর গরম জল ঢেলে দেয় বাবা ও ছেলে।
এই ঘটনাটি চলে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে। বিষয়টি দেখে আর চুপ থাকতে পারেননি ওই সংস্থায় কর্মরত আর এক ব্যক্তি। তিনিই পুলিশকে খবরটা দিয়ে দেন। পুলিশ দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ওই তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদের আম্বেদকর রোডের ওপর সুচিত্রা কমপ্লেক্সে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নিজের প্রাপ্য মাইনে চাইতে এসে তরুণীর এমন ভয়ংকর পরিণতিতে চাপা ক্ষোভ জমেছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা