বাঁচানোর জন্য কাকুতি মিনতি করছিলেন মেয়েটি। খোলা রাস্তার ওপর ৪ জন দুষ্কৃতি আস্ফালন করছে। হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর বাবা ও ভাইকে কোপাচ্ছে। রক্তাক্ত অবস্থায় আর্তনাদ করছেন তাঁরা। মেয়েটি তখন সকলের কাছে সাহায্য চাইছেন। কেউ অন্তত এগিয়ে এসে তাঁর বাবা, ভাইকে বাঁচান। চারপাশে যে তখন কেউ ছিলেন না এমনও নয়। প্রতিবেশিদের অনেকেই তখন সেখানে উপস্থিত। অনেকে ভিডিও করছিলেন পুরো ঘটনার। একটা নারকীয় হত্যালীলায় তবু ওই তরুণীকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেননি। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ করলেন পিতৃহারা তরুণী। গোটা সমাজের ওপর তিক্ত অভিজ্ঞতার ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।
কী হয়েছিল সেদিন? কেনই বা কেউ এগিয়ে এলেন না? গত শনিবার হাসপাতাল থেকে বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে ফিরছিলেন ওই তরুণী। পশ্চিম দিল্লির বাসাই দারাপুরে তাঁদের বাড়ি। বাড়ির তখন খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। ওই তরুণীর দাবি ওই সময় ৪ জন ব্যক্তি তাঁকে উদ্দেশ্য করে খারাপ খারাপ কথা বলতে থাকে। রুখে দাঁড়ান তাঁর বাবা ও ভাই। শুরু হয় বচসা। এই সময় আচমকাই ছুরি দিয়ে একজন তাঁর বাবা ও ভাইকে কোপাতে থাকে।
তাঁদের কোপানোর জন্য ছুরিটি ওই দুষ্কৃতির হাতে তুলে দেয় দুষ্কৃতিরই পরিবারের এক মহিলা। কোপাতে কোপাতে ওই ৪ দুষ্কৃতি আস্ফালন করতে থাকে। ওই তরুণী সাহায্য চাইলে তারা সাফ জানিয়ে দেয় কেউ বাঁচাতে এগিয়ে এলে তারও পরিণতি এটাই। এরপর সকলে ভিডিও করে ঠিকই কিন্তু সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।
রক্তাক্ত অবস্থায় তরুণীর বাবা ও ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর বাবার। ভাই এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন। ওই তরুণীর দাবি, কেউ সেদিন সাহায্যের জন্য এগিয়ে তো আসেইনি, এমনকি ভিডিও ফুটেজটাও শেয়ার করছেনা। যা দুষ্কৃতিদের পাকড়াও করার জন্য বড় প্রমাণ হতে পারে। অন্যদিকে প্রতিবেশিদের দাবি তাঁরা বাঁচাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ওই দুষ্কৃতিদের ভয়ে তাঁরা এগোতে সাহস পাননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা