প্রথমে দোকানদারের কাছ থেকে ৩টি সিগারেট নেয় কানহাইয়া নামে এক যুবক। তারপর দোকানের সামনে দাঁড়িয়েই একটি সিগারেট থেকে অপরটি ধরিয়ে পরপর শেষ করে ৩টি সিগারেট। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ওই ৩টি সিগারেটের দাম দোকানদার চাইতেই শুরু হয় অশান্তি। পুলিশ জানাচ্ছে দোকানদার আবদুল গফুর সিগারেটের দাম চাইলে সেই দাম নিয়ে ২ জনের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ কানহাইয়া এই সময় গফুরকে গালিগালাজ করে। পাল্টা একই ভাষা তাকে ফেরত দেন গফুর। অবশেষ কানহাইয়ার কাছ থেকে ৩টি সিগারেটের দাম আদায় করে নেন আবদুল গফুর।
গত ৩ মে ঘটনাটি ঘটে হরিয়ানার মানেসরের আইএমটি এলাকায়। এখানেই সিগারেটের দোকান চালাতেন গফুর। ৩ মে গফুর তার কাছ থেকে যেভাবে টাকা আদায় করেন তা কানহাইয়ার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। পুলিশ জানাচ্ছে, সে অপমানিত বোধ করতে থাকে। পরদিন ৪ মে রাত ৯টায় সে ফের ফিরে যায় গফুরের দোকানে। ফের তার কাছ থেকে ১টি সিগারেট কেনে কানহাইয়া। তাকে সিগারেট বেচে গফুর দোকানের কাজে মন দিতেই সঙ্গে আনা এক বোতল পেট্রোল গফুরের গায়ে ঢেলে দেয় কানহাইয়া। তারপর আগুন ধরিয়ে দেয়।
দোকানের মধ্যেই জ্বলতে থাকেন গফুর। আগুন লাগা অবস্থায় প্রাণে বাঁচার শেষ চেষ্টা করতে দোকান থেকে বার হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাঁকে দোকান থেকে বার হতে দেয়নি কানহাইয়া। ফলে দোকানেই জীবন্ত জ্বলতে থাকেন গফুর। পরে ৮০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে গুরুগ্রাম সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সফদরজঙ্গ হাসপাতালে। সেখানেই ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষেন ৫৫ বছরের গফুর। অবশেষ মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা কানহাইয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনা জানতে পেরেছে পুলিশ। এদিকে পরিবারের একমাত্র রোজগেরেকে হারিয়ে আতান্তরে পড়েছে গফুরের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা