গাড়ি চুরির কৌশলকে বাঁ হাতের খেলা করে ছেড়েছিল কুণাল ও শাহিদ। সব মিলিয়ে ৮ থেকে খুব বেশি হলে ১০ মিনিট। তার মধ্যে একটা আস্ত গাড়ি চুরে করে ভ্যানিস হয়ে যেত তারা। গাড়ির চুরির সময় মুখে পড়ে নিত মুখোশ। যাতে তাদের ছবি সিসিটিভিতে ধরা না পড়ে। আর হাতে পড়ে নিত দস্তানা। যাতে তাদের আঙুলের ছাপ কোথাও থেকে না যায়। এরপর তাদের আঙুলের খেলায় তারা খুলে ফেলত গাড়ির দরজা। স্টার্ট করত গাড়ি। তারপর গাড়ি চালিয়ে পালাত। সেই গাড়ি তারা বিক্রি করত ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। এক আধদিন নয়, গত ২০ বছর ধরে একের পর এক গাড়ি চুরি করতে করতে তাদের গাড়ি চুরির সংখ্যা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। গাড়ি চুরিতে এমন অভিজ্ঞতা নিয়েও পুলিশের ফন্দির সঙ্গে এঁটে উঠতে পারলনা তারা। ধরা পড়ল পুলিশে ফাঁদে।
এখন মারুতি সুজুকি ব্রিজা গাড়ি চুরি করা শুরু করেছিল তারা। আগেই ৪টে চুরি করেছিল। পঞ্চম ব্রিজাটি চুরি করতে গত বুধবার রাতে তারা হাজির হয়েছিল দিল্লির হেগড়েওয়ার হাসপাতালে কাছে। কিন্তু জানত না পুলিশ লুকিয়ে অপেক্ষা করছে তাদের হাতেনাতে ধরার জন্য। এরপর যেই তারা গাড়িটি চুরি করে তাতে চেপে বসেছে, ঠিক তখনই পুলিশ তাদের পথ আটকায়। তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলে। আর ঠিক তখনই শুরু হয় নাটকীয় পরিস্থিতির। চুরি করা গাড়ি নিয়ে পুলিশকে এড়াতে তারা জোরে গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। প্রথমেই তারা গিয়ে ধাক্কা মারে পথ আটকে দাঁড়ানো পুলিশের গাড়িতে। তারপর একটা খেলনা বন্দুক দেখিয়ে গুলি চালানোর ভয় দেখিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় দুজন।
ধৃত কুণাল দিল্লির অমর কলোনির বাসিন্দা। বয়স ৪০। অন্য ধৃত ৩৫ বছরের শাহিদ উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের বাসিন্দা। এদের পুরো চক্রের সম্বন্ধে জানতে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ২০ বছর ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গাড়ি চুরি চালানো ২ দুষ্কৃতিকে অবশেষে পাকড়াও করাকে বড় সাফল্য হিসাবেও দেখছে দিল্লি পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা