রাত তখন অনেক। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে আলম বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মলত্যাগ করতে। তক্কে তক্কে ছিল আততায়ীরা। আলম বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে তারা। সেখানে তখন ৩ সন্তানকে নিয়ে শুয়ে ছিলেন আলমের স্ত্রী তাবাসসুম। বাড়িতে ঢুকে নৃশংসভাবে ৩০ বছরের তাবাসসুম, তাঁর ৬ বছরের মেয়ে আলিয়া, ৮ বছর বয়সী বড় ছেলে শাবির ও ছোট ছেলে ৪ বছরের সমীরকে গলা কেটে খুন করে আততায়ীরা।
মা ও তাঁর ৩ সন্তানকে এমন নৃশংসভাবে হত্যার সময় তাদের আর্তনাদ কানে যায় প্রতিবেশিদের। তাঁরা কয়েকজন বেরিয়ে আসেন। বেগতিক বুঝতে পারে আততায়ীরা। তখন ঘরের দরজা দিয়ে না বেরিয়ে ঘরের মধ্যের ভাঙা জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে অন্ধকারে মিশে যায় তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের আরারিয়া জেলার মাধোপাড়া গ্রামে। পুলিশ তদন্ত এসে দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠায়। একজন মহিলা ও ওই ছোট ছোট শিশুদের এভাবে হত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে জমি সংক্রান্ত বিবাদের কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। ফলে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছে তারা। পরিবার হারানো আলমও পুলিশকে জমি বিবাদের কথাই জানিয়েছেন।
ঘটনার পর প্রাথমিক শোক কাটিয়ে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আলম। সেই অভিযোগ পত্রে ওই গ্রামেরই ৪ জনের নাম দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি এই ৪ জন গোটা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা