হিন্দি সিনেমার টানটান উত্তেজনার মুহুর্তকেও হার মানাবে এই বাস্তব। গত শুক্রবার সন্ধের ঘটনা। ২৪ বছর বয়সী মণীশ তার গাড়িতে ৩ বন্ধুকে নিয়ে যাচ্ছিল। খেরা খুর্দ গ্রামের বাসিন্দা মণীশের গাড়ির সামনে আচমকাই এসে দাঁড়ায় একটি গাড়ি। কার্যত মণীশের গাড়িকে ওভারটেক করে গাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে যায় ওই মারুতি গাড়িটি। স্বভাবতই সামনে গাড়ি থাকায় মণীশ গাড়ি থামায়। আর ঠিক তখনই সময় নষ্ট না করে মারুতি থেকে বেরিয়ে আসে ৫ জন। তারা মণীশকে তাক করে গুলি চালায়। বেগতিক বুঝে মণীশ গাড়ি থেকে নেমে রাস্তা ধরেই ছুটতে শুরু করে। তাকে তাড়া করে ওই ৫ জন। গুলিও চালাতে থাকে। মোট ১৭ রাউন্ড বুলেট ছুটে আসে মণীশকে লক্ষ্য করে। তারমধ্যে ৪টি তার গায়ে লাগে। বাকিগুলি এপাশ ওপাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৪টি গুলি লাগে তার পা ও পেটে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে মণীশ। মণীশ রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে চম্পট দেয় ওই ৫ জন।
গোটা ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় মণীশকে উদ্ধার করে দিল্লির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি মণীশ। দিল্লির রোহিণী এলাকায় হওয়া এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে গোটা ঘটনাই গ্যাং ওয়ারের ফল। ২টি দুষ্কৃতি দলের মধ্যে লড়াই। মণীশকে অন্য দল তাড়া করে মারার চেষ্টা করেছে। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছে মণীশ। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে। মণীশের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
দিল্লির রোহিণী এলাকায় যখন ঘটনাটি ঘটে তখন সন্ধে। এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বাড়ির সামনে খেলা করছিল। সেখানে মণীশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া বুলেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর তাদের গায়ে লাগতেই পারত। কারণ হিসাব বলছে ১৩টি বুলেট মণীশকে ছোঁয়নি। সেগুলির একটিও ওই শিশুদের গায়ে লাগলে ভয়ংকর কিছু হতে পারত। তবে ভাগ্যের জোরে সেই ঘটনা ঘটেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা