একাই লড়ে চলেছেন তিনি। তাঁর সেই একার লড়াই এবার সকলের নজর কাড়তে শুরু করেছে। গত ৩ বছর ধরে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে তিনি তাঁর লক্ষ্যে এগিয়ে গেছেন। কখনও সাহায্য পেয়েছেন। কখনও পাননি। কিন্তু দমে যাননি। যে কাজে তিনি হাত দিয়েছেন তা কারও একার কম্ম নয়। এ এক মহাযজ্ঞ। কিন্তু সেই লড়াইটা না থামিয়ে লড়েছেন মথুরার প্রদীপ বনসল।
পেশায় ব্যবসায়ী প্রদীপের খারাপ লাগত শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনার অবস্থা দেখে। যমুনার জলে নোংরা ফেলে ফেলে তা দূষিত এক আবর্জনার নালার রূপ নিয়েছিল। এই অবস্থায় যমুনাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে তার দুধার সবুজে ভরিয়ে ফেলা ও যমুনাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন প্রদীপ। সেই লক্ষ্যে তাঁর ৩ বছরের লড়াই কাজে এসেছে।
এখন বিভিন্ন পরিবেশকর্মী তাঁর কাজে আকর্ষিত হয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানো শুরু করেছেন। এগিয়ে আসছে বিভিন্ন সংস্থা। মথুরার সবচেয়ে বড় নিকাশি নালা মাসানি নালা। সেই মাসানি নালা সহ শহরের যে নালাগুলি যমুনার জলে এসে পড়ছে, স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যে সেসব নালার মুখ ঘুরিয়ে সেই নোংরা জলকে পরিশ্রুত করার ব্যবস্থা করিয়েছেন প্রদীপ। যমুনার জলকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। সেইসঙ্গে আবর্জনার স্তূপ হয়ে থাকা যমুনার দুধারকে সুন্দর করে সবুজে ভরিয়ে তুলেছেন তিনি।
মথুরার ধার ধরে বয়ে যাওয়া যমুনাকে সাফ করে, সুন্দর করে এবার এই কাজ এগিয়ে যাবে বৃন্দাবনের দিকে। বৃন্দাবনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনাকে এবার এভাবেই সাজিয়ে তুলতে চাইছেন প্রদীপ বনসল। এখন অবশ্য তাঁর কাজ অনেকের চোখে পড়েছে। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে বিভিন্ন সংস্থা, পরিবেশ কর্মীরা। তবে প্রথম ৩ বছর কঠোর ত্যাগ স্বীকার করে একা লড়ে গেছেন প্রদীপ। এত বড় কাজকে তিনি অবশেষে বাস্তব রূপ দিতে পেরেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা