নেত্রীর হারের খবর পাওয়ার পর থেকেই খাওয়া, ঘুম বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নেত্রীর হার সহ্য করতে পারছিলেন না। অবশেষে সেই অসহ্য পরিস্থিতি তাঁর শরীর ও মনে এতটাই প্রভাব ফেলে যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় তাঁর। দলের তরফ থেকে তেমনই দাবি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানায়।
তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি-র নেতা তথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতা ২০১৪ সালে নিজামাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এবার ২০১৯ লোকসভায় তিনি হেরে গেছেন। ওই কেন্দ্রে টিআরএস-এর অন্য কর্মীদের মতই ছিলেন কিশোর। তিনিও কবিতাকে জেতাতে ভোট প্রচারে কম পরিশ্রম করেননি। কিন্তু ফলাফল বার হওয়ার পর যখন দেখা যায় কে কবিতা হেরে গেছেন তখন থেকে তিনি মূষরে পড়েন। নাওয়া, খাওয়া, ঘুম সব পরিত্যাগ করেন। অবশেষে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিজামাবাদ জেলার মাঞ্চিকাপ্পা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন কিশোর। সেখানেই গত শনিবার বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে কিশোরের বাড়িতে হাজির হন কে কবিতা। পরিবারের পাশে দল সবসময় আছে বলে জানিয়ে আসেন। সেইসঙ্গে দলের সব কর্মীদের বার্তা দেন, গণতন্ত্রে হার-জিত আছেই। কিন্তু দলের জন্য কর্মীরাই সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই হারকে সাহসের সঙ্গে বরণ করুন।
এবার লোকসভায় নিজামাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে কে কবিতার বিরুদ্ধে দাঁড়ান বিজেপির ডি অরবিন্দ। ৭১ হাজার ভোটে ডি অরবিন্দ পরাজিত করেন কবিতাকে। স্থানীয় বেশ কিছু সমস্যা ছিল, অভিযোগ ছিল। সেগুলিকেই হারের কারণ বলে মনে করছে দল। সেই হারের শোক সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হল এক যুবকের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা