প্রেমিকা এবার এমবিএ পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই প্রেমিক চেয়েছিল পরীক্ষায় বসার আগেই তার হাতে এবারের প্রশ্নপত্র তুলে দিতে। তাও একেবারে উত্তর সমেত। প্রেমিকাকে সে কথা দিয়েছিল, যেভাবেই হোক সে পরীক্ষার আগে এমবিএ পেপার তার হাতে তুলে দেবে। প্রথমে অবশ্য একটু জালিয়াতি করার চেষ্টা করে। একটা ভুয়ো প্রশ্নপত্র ও তার উত্তর প্রেমিকার হাতে তুলে দেয়। কিন্তু প্রেমিকা বুঝতে পারে ওটা ভুয়ো। বন্ধ হয়ে যায় দেখা সাক্ষাৎ, কথাবার্তা। এভাবে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা না করে কদ্দিন থাকা যায়! তাই এবার আসল প্রশ্নপত্র কীভাবে বার করা যায় তার খোঁজখবর শুরু করে প্রেমিক।
জানেন এই প্রেমিকটি কে? তিনি উত্তরপ্রদেশের বিএসপি নেতা ফিরোজ আলম। যাকে সকলে রাজা বলেই চেনেন। রাজনৈতিক নেতা হওয়ার সুবাদে তার পরিচিতি কম নয়। সেই পরিচিতি কাজে লাগিয়ে হায়দর নামে এক বন্ধুকে দিয়ে রাজা যোগাযোগ করে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মী ইরশাদের সঙ্গে। পেপার বার করে দিতে পারলে ইরশাদকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্থায়ী চাকরির বন্দোবস্ত করে দেবে বলে আশ্বাস দেয় রাজা।
ইরশাদের হাত ধরেই সে এমবিএ-এর আসল প্রশ্নপত্রটি বার করেও নেয়। লিক হয়ে যায় এমবিএ প্রশ্নপত্র। কিন্তু তার এই প্রশ্নপত্র লিক বেশি দিন চাপা থাকেনি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে গত সোমবার বিএসপি নেতা রাজাকে গ্রেফতার করে। আপাতত তার জায়গা হয়েছে জেলে। তার সঙ্গে হায়দর ও ইরশাদকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
হায়দরের ফ্ল্যাটটিও সিল করে দিয়েছে পুলিশ। ওটাই ছিল সকলের মিটিং পয়েন্ট। যদিও ফ্ল্যাটটি হায়দর ব্যবহার করলেও তার মালিক সে নয়। মালিক তার কাকা। এই গ্রুপটি রীতিমত প্রশ্নপত্র বিক্রি করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র বিক্রি হত। কীভাবে কী হত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা