একদম পিকনিক মুডে ছিলেন সকলে। গিয়েছিলেন একটি জলাধারের কাছে। বিশাল জলরাশির পাশে স্বামী, স্ত্রী ও পরিবারের ২ মেয়ে মেতে উঠেছিলেন হৈচৈ আনন্দে। এরমধ্যেই তাঁদের ইচ্ছা হয় জলে নেমে একটু মজা করলে কেমন হয়! যেমন ভাবা তেমন কাজ। জলে নেমে পড়েন অভিষেক। বছর ২৫-এর অভিষেক জলে নামার পর তাঁর সঙ্গে জলে নেমে পড়েন পরিবারের ২ সদস্য সঙ্গীতা ও সুমালতা। সঙ্গীতার বয়স ১৯ বছর ও সুমালতার বয়স ১৫ বছর। ৩ জনেই জলে হুল্লোড় শুরু করেন। একে অন্যের গায়ে জল ছিটিয়ে দিতে থাকেন। আর সেই আনন্দের ছবি মোবাইলে ভিডিও করতে থাকেন অভিষেকের স্ত্রী দিব্যা।
জলে নামার পর একে অপরের গায়ে জল ছেটাতে ছেটাতে ৩ জনই ভুলে গিয়েছিলেন তাঁরা ক্রমশ গভীর জলের দিকে চলে যাচ্ছে। যখন হুঁশ হয় তখন তাঁরা ডুবোন জলে। এই অবস্থায় ৩ জনই বুঝতে পারেন তাঁরা বিপদে পড়েছেন। জলে ডুবতে শুরু করেছেন। চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। বাঁচানোর জন্য আর্তি জানাতে থাকেন। ৩ জনকে ডুবতে দেখে এবার দিব্যাও পাড়ে দাঁড়িয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন।
সকলে চিৎকার শুনে ছুটে এলেও ৩ জনকে বাঁচানো যায়নি। জলে তলিয়ে যান তাঁরা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার জনগাঁও জেলার বোমাপুর জলাধারে। ঘটনার পর পুলিশ এসে জলে ডুবুরি নামায়। ডুবুরিরাই দেহ ৩টি উদ্ধার করে তুলে আনেন। পুরো ঘটনা কীভাবে ঘটল তা দিব্যার তোলা ভিডিও ফুটেজ দেখে ও তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা