খোদ হাসপাতাল চত্বরে এমন কাণ্ড হতে পারে কে ভেবেছিল! বাবা রাকেশ ও ছেলে রাহুল, ২ জনেই হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করত। পুলিশ জানাচ্ছে, গত রবিবার রাতে হাসপাতালের আইসিইউ-র সামনে কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলের ঝগড়া শুরু হয়। দ্রুত তা হাতাহাতিতে গড়ায়। ২ জনে মারামারি করতে করতে জানালার কাছে পৌঁছে যায়। তাদের হাতাহাতির চোটে জানালার একটি কাচ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত সেই কাচের একটি টুকরো তুলে নেয় বাবা রাকেশ। তারপর সময় নষ্ট না করে বসিয়ে দেয় ছেলের ঘাড়ে।
রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে ছেলে রাহুল। হাসপাতালেই ঘটনাটি ঘটায় রাহুলকে নিয়ে জরুরি বিভাগে পৌঁছতে সময় লাগেনি। কিন্তু ওইটুকু সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হয় রাহুলের। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাবার হাতে ছেলের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। পুলিশ আসে। হাসপাতাল চত্বর থেকেই রাকেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মাহোবা-র সিভিল হাসপাতালে। রাহুলের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে বাবা রাকেশের পুলিশের গারদের পিছনেই জায়গা হয়েছে। এদিকে হাসপাতাল চত্বরে এমন ঘটনায় রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন যেখানে এত মরণাপন্ন রোগী ভর্তি রয়েছেন, সেখানে এমন হাতাহাতির ঘটনা ঘটে কি করে! আইসিইউ-র সামনে ২ জনের মধ্যে এতক্ষণ হাতাহাতি চলল কী করে! — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা