ভোটের আগে বিজেপিকে রুখতে হাত মিলিয়েছিল সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি। যদিও উত্তরপ্রদেশের এই ২ দল একে অপরের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবেই পরিচিত। তবু তৃতীয় পক্ষ বিজেপিকে রুখতে তারা সব বিদ্বেষ ভুলে নিজেদের মধ্যে গাঁটছড়া বেঁধেছিল। যেখানে সপা প্রার্থী দিয়েছে সেখানে বসপা প্রার্থী দেয়নি। আবার যেখানে বসপা প্রার্থী দিয়েছে সেখানে সপা প্রার্থী দেয়নি। ২টি আসন কংগ্রেসকেও ছেড়ে দেয় তারা। কিন্তু সপা-বসপা গাঁটছড়া মেনে নেননি মানুষ। মুখ থুবড়ে পড়েছে জোট।
বিজেপিকে আটকাতে তৈরি হওয়া জোট কাজে না আসায় এবার জোট ভেঙে দিলেন বসপা নেত্রী মায়াবতী। মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তিনি জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যে যে বিধানসভা উপ-নির্বাচন আসতে চলেছে তাতে একাই লড়বে বসপা। তবে কোনও তিক্ততা দেখিয়ে একা লড়ার সিদ্ধান্ত জানাননি মায়াবতী। জানিয়েছেন আপাতত তিনি একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা কোনও চিরকালীন বিচ্ছেদ নয়। ফলে আগামী দিনে জোট রাস্তা খুলে রাখলেন তিনি।
মায়াবতী মঙ্গলবার দাবি করেন যাদব ভোট, যা কার্যত সপা-র ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে পরিচিত তা লোকসভায় জোটকে ভোট দেয়নি। তা না হলে ডিম্পল যাদব, ধর্মেন্দ্র যাদবের মত নেতানেত্রী হারতেন না। যা সপা-র জন্য যথেষ্ট ভাবার বিষয় বলে জানান মায়াবতী। সেইসঙ্গে বসপা-রও এই জোট করে তেমন কোনও উপকার হয়নি বলে দাবি করে মায়াবতী বলেন, সপা-র যে ভোট তা জোট থাকা সত্ত্বেও বসপা-য় পড়েনি।
মায়াবতীর ঘোষণার পর সপা নেতা অখিলেশ যাদবও জানিয়ে দেন যে তাঁরা জোট ধরে রাখছেন না। উত্তরপ্রদেশে যে ১১টি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তাতে তাঁর দল একাই লড়বে। এখন সপা, বসপা আলাদা লড়ে বিজেপি গড়ে কতটা ধাক্কা দিতে পারে সেদিকে চেয়ে রয়েছেন রাজনীতিবিদরা। গাঁটছড়া তাদের জন্য ভাল করেছিল না খারাপ তা এরপরেই পরিস্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা