National

বৃষ্টি চেয়ে গঙ্গায় নেমে সানাই বাজালেন একদল সানাইবাদক

দিনের পর দিন হল্কা দিচ্ছেন সূর্যদেব। আগুনে গরমে চলছে তাপপ্রবাহ। মানুষের টিকে থাকা দায় হয়ে উঠেছে। গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই অবস্থায় এক পশলা বৃষ্টি পেলেও অনেককিছু বলে মনে করছেন বারাণসীর মানুষজন। কিন্তু কোথায় বৃষ্টি! তাই এবার বৃষ্টিকে আহ্বান করতে গঙ্গার জলে নেমে পড়লেন একদল সানাইবাদক। যাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান সানাই বাদক মহেন্দ্র প্রসন্ন।

বারাণসীর অসি ঘাটের গঙ্গায় হাঁটু জলে নেমে সকলে মিলে সানাই বাজান। নেতৃত্বে ছিলেন মহেন্দ্র প্রসন্ন। রাগ মেঘ বাজান তাঁরা। রাগ মেঘ তুষ্ট করবে ইন্দ্রদেবকে। আর তিনি তুষ্ট হলে বৃষ্টি আসবে। তাঁদের আশা গঙ্গার জলে দাঁড়িয়ে রাগ মেঘ বয়ে আনবে ঘন কালো মেঘরাশি। বৃষ্টি নামবে বারাণসী শহরে। প্রাণ জুড়োবে মন্দিরের শহরের মানুষের।


সানাই বাজিয়ে বৃষ্টির প্রার্থনার এই অভিনব উদ্যোগের সামনে যিনি ছিলেন সেই মহেন্দ্র প্রসন্ন জানান, তাঁরা ঠিক করেছিলেন সানাইয়ে রাগ মেঘ বাজিয়ে ইন্দ্রদেবকে প্রসন্ন করতে। যাতে তিনি এই অমানুষিক গরম থেকে বারাণসীর মানুষকে কিছুটা রেহাই দেন। সানাই বাদনের পাশাপাশি গঙ্গাকে তুষ্ট করতে নারিয়েল বলি বা নারকেল বলি দেওয়া হয় গঙ্গায়। বাবা বিশ্বনাথেরও দুধ দিয়ে অভিষেক ও পুজো করা হয়। এসবই করা হয়েছে একটু বৃষ্টির জন্য।

সানাইয়ে রাগ মেঘ বা নারিয়েল বলি বা বাবা বিশ্বনাথের অভিষেকের পর এখন চাতকের মত আকাশের দিকে চেয়ে কাটাচ্ছেন বারাণসীবাসী। কখন একটু কালো মেঘ আকাশে উঁকি দেবে সেই ভরসায় বসে আছেন তাঁরা। যদিও আবহাওয়া দফতর তেমন কোনও আশার কথা আগামী ১ সপ্তাহে শোনাতে পারছে না। হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে আগামী ১ সপ্তাহ গরমের এমন পরিস্থিতি বজায় থাকবে। তারপর থেকে উত্তরপ্রদেশে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button