বৃহস্পতিবার রাত। আচমকাই শুরু হয় প্রবল ধুলো ঝড়। ধুলো ঝড়ে চারধার ঝাপসা হয়ে যায়। সেইসঙ্গে শুরু হয় বজ্রবিদ্যুতের ঝলকানি। এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। অনেকেই বাড়ির মধ্যেই পরিবার নিয়ে দুর্যোগ থামার অপেক্ষা করতে থাকেন। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃহস্পতিবার রাতে এই ধুলো ঝড় হয়।
ধুলো ঝড় ও বজ্রপাতে সব মিলিয়ে ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যারমধ্যে শুধু মৈনপুরীতেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। কাসগঞ্জ ও এটা-তে ৩ জন করে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মোরাদাবাদ, বদায়ুঁ, পিলিভিট, মথুরা, কনৌজ, সম্ভল এবং গাজিয়াবাদে ১ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে ১৯ জনের প্রাণহানি তো হয়েছেই, তারসঙ্গে আহত হয়েছেন ৪৮ জন। যারমধ্যে শুধু মৈনপুরীর ৪১ জন বাসিন্দা আহত হয়েছেন। ধুলোঝড় ও বজ্রপাতের ঘটনা সবচেয়ে বড় আকার নেয় মৈনপুরীতেই।
ধুলো ঝড়ের জেরে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে অজস্র গাছ উপড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে অগুনতি কাঁচা বাড়ি। এদিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত মানুষজনের ত্রাণে সবরকম বন্দোবস্ত করার জন্য রাজ্যের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রত্যেক জেলার মন্ত্রীদের তাদের এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা