বাড়ির সামনে বারান্দা। সেখানেই রাতে শুয়েছিলেন তিনি। কৃষক পরিবারের বৃদ্ধা সদস্য ৬৫ বছরের গয়াবাঈ হাতকর এখানেই রাতে শুতে অভ্যস্ত। বৃহস্পতিবার রাতেও ওখানেই শুয়ে ছিলেন। ভোরে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় তাঁকে না দেখতে পেয়ে কিছুটা অবাক হন। শুরু হয় খোঁজ। তখনই তাঁদের নজরে পড়ে বারান্দার একটা অংশে রক্তের দাগ। রক্তের দাগ ধরে তাঁরা এগোতে থাকেন। বাড়ির বাইরে প্রায় ১০০ মিটার দূরে অবশেষে ওই মহিলার ছিন্নভিন্ন দেহের খোঁজ পান তাঁরা।
ভোররাতে ৪টে নাগাদ লেপার্ডটি ওই মহিলাকে আক্রমণ করে বলে মনে করছে পুলিশ। তারপর তাঁকে টেনে নিয়ে যায় বেশ কিছুটা। শরীর ছিন্নভিন্ন করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ ছড়ায়। মহারাষ্ট্রের গাদবোরি গ্রামে এই নিয়ে ২টি ঘটনা ঘটল। মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে ওই গ্রামেই ২ বার হানা দিল লেপার্ড। ৫ দিন আগে এক ৯ মাসের শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল লেপার্ড। রাতের অন্ধকারে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই শিশুটির দেহাংশ খুঁজে পাওয়া যায়।
গ্রামবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাকে কেন্দ্র করে শিশুটির ঘটনার পর থেকেই ফুঁসছিলেন গ্রামবাসীরা। এদিন বৃদ্ধার ঘটনা তাঁদের সেই ক্ষোভকে রাস্তায় নামিয়ে আনে। দেহ আটকে পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ অনেক বোঝালেও কাজ হয়নি। প্রায় ৮ ঘণ্টা তাঁরা পুলিশকে দেহ তুলতে দেননি। পরে তাঁদের বুঝিয়ে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা