চিকিৎসকের ক্লিনিকে অনেক রোগিণীই আসেন শারীরিক পরীক্ষা করাতে। চিকিৎসকের প্রতি অগাধ ভরসা রেখেই আসেন তাঁরা। সেভাবেই এসেছিলেন এক তরুণী। কিন্তু তিনি জানতেও পারেননি তাঁর শারীরিক নানা পরীক্ষার সময় সেই ভিডিও লুকিয়ে তুলে রাখা হয়েছিল। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তরুণীর সেই ভিডিও ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। ফলে দ্রুত সে খবর ওই তরুণীর কাছেও পৌঁছয়। তারপরই তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ওই তরুণীর দাবি, তিনি বেশ কিছুদিন আগে ওই ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর নানা রকম শারীরিক পরীক্ষা হয়। সে সময়ই তাঁর অজান্তে এই ভিডিও তোলা হয়। তারপর তা রীতিমত এডিট করে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট করে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
একজন মহিলার এভাবে অশ্লীল ভিডিও পাবলিশ করায় তাঁর সম্মানহানি নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে এই ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে ৪ চিকিৎসক। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে। তাদের আটক করা হয়েছে। এই ঘটনা ফের একবার পুরুষ চিকিৎসকের কাছে এক মহিলার পরীক্ষা করানো বা কোনও শারীরিক পরীক্ষার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাওয়ার ক্ষেত্রে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন খাড়া করে দিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা