National

প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে বান্ধবীকে পুড়িয়ে নিজেকে মৃত প্রমাণের চেষ্টা গৃহবধূর

বিয়ে হয়েছিল সদাশিব শিণ্ডে নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। সেই বিবাহিত জীবনের মাঝেই নতুন সম্পর্ক তৈরি হয় সোনালি শিণ্ডের। বিবাহিতা হয়েও ৩০ বছরের সোনালি তার চেয়ে বয়সে ৪ বছরের ছোট ছাবাদাস বৈষ্ণবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এভাবে সংসার করবে একজনের সঙ্গে আর প্রেম করবে অন্য কারও সঙ্গে! তাই ছাবাদাসের সঙ্গে সংসার পাতার জন্য সোনালি একটা ফন্দি আঁটে। ডেকে পাঠায় তার অনেকদিনের বান্ধবী রুকমানবাঈ মালি-কে। তারপর প্রেমিক ছাবাদাসের সঙ্গে মিলে রুকমানবাঈকে খুন করে।

খুনের পর রুকমানবাঈয়ের শরীর থেকে তাঁর পোশাক খুলে নিজের পোশাক পরিয়ে দেয়। এমনকি পাল্টে দেয় গায়ের গয়না, পায়ের চটি। তারপর আগুন ধরিয়ে দেয় মৃত রুকমানবাঈয়ের শরীরে। পুরো শরীরটা পুড়ে যায়। এরপর সেই পোড়া দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট ফেলে ছাবাদাসকে নিয়ে চম্পট দেয় সোনালি। পরিকল্পনা ছিল এক ঢিলে ২ পাখি মারার। সুইসাইড নোট অনুযায়ী পুলিশের মনে হবে স্বামীর অত্যাচারে সোনালি আত্মহত্যা করেছে। কারণ তারই বয়সী এক যুবতীর দেহ পাওয়া যাবে। তারই জামাকাপড়, গয়না, জুতো পাওয়া যাবে। এই অবস্থায় সোনালি মারা গেছে বলেও প্রমাণ হয়ে যাবে। আর তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য স্বামী সদাশিবও মুশকিলে পড়বে।


দেহ পাওয়ার পর পুলিশও সোনালির চালেই পা দেয়। পুলিশ সোনালির ভাইকে দিয়ে দেহ শনাক্তও করায়। ভাই জানান জামাকাপড় থেকে গয়না, জুতো সবই তাঁর বোনের। ফলে পুলিশ তাঁর হাতে ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেয়। তাঁরাও সৎকার করে দেন। কিন্তু কোথাও পুলিশের একটা খটকা থেকেই যায়। এরমধ্যেই পুলিশের কাছে খবর আসে রুকমানবাঈ মালি নামে এক মহিলা বেপাত্তা। বয়স একেবারে সোনালির মত। ফের খটকা লাগে পুলিশের।

পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সন্দেহ দৃঢ় হয়। পুলিশের মনে হয় সোনালি জীবিত। সোনালির খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তারপর একটি রেল স্টেশন থেকে সোনালি ও ছাবাদাসকে পাকড়াও করে তারা। জেরার মুখে পরিকল্পনার বিষয়ে জানিয়ে সব কথা স্বীকার করে সোনালি ও ছাবাদাস। পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button