ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন শিক্ষাজগতের অন্যতম ক্ষেত্র আইআইটি-র এক অধ্যাপক। দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আইআইটি-কে চেনেন সকলে। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন অধ্যাপকের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুমেয়। তাঁর এমন কাজ নিয়ে ছিছি করছে গোটা দেশ। এক বছর ৩৫-এর মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে আইআইটি যোধপুরের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিবেক বিজয়বর্গীয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতারের পর তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়। বিবেক বিজয়বর্গীয়র জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
ওই মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, তিনি ২০০০ সালে বিবেক বিজয়বর্গীয়র কাছে অঙ্ক করতেন। তখন তিনি তাঁর ছাত্রী ছিলেন। রাজস্থানের কোটায় থাকার সময় তাঁর শিক্ষক ছিলেন বিবেক। পরে ওই মহিলার বিয়ে হয় দিল্লিতে। তিনি দিল্লি চলে যান। আবার তাঁদের দেখা হয় গত বৃহস্পতিবার। তিনি চিন্ময় পাণ্ডিয়ার প্রেরণাদায়ক বক্তব্য শুনতে এসেছিলেন নয়ডায়। সেখানেই বিবেক বিজয়বর্গীয় হাজির হন। পরে তাঁকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান বিবেক বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা।
ওই মহিলা দাবি করেছেন, বিবেক বিজয়বর্গীয়র ঘরে ঢোকার পর তিনি তাঁর সিভি তাঁকে দেখান। সিভি দেখার পর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেন বিবেক। কিন্তু তারপর বিবেক বলেন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে কী মূল্য দেবেন ওই মহিলা। এরপর কিছু বোঝার আগেই ওই মহিলার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর এক সময়ের মাস্টারমশাই। এই ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ বিবেক বিজয়বর্গীয়কে গ্রেফতার করে। ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা