গোয়ার সমুদ্রতট বিখ্যাত রোদ পোহানো বা যাকে বলে সান বাথ নেওয়ার জন্য। আর বিখ্যাত এখানের সমুদ্রে স্নানের জন্য। বহু দেশি বিদেশি পর্যটকই গোয়ায় সমুদ্র স্নান ও সান বাথ করতে হাজির হন। গোয়ায় সেই সমুদ্র স্নান বন্ধ করে দিল গোয়ার সমুদ্রতটের রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যটকদের ভালমন্দের দায়িত্বে থাকা গোয়া সরকার নিয়োজিত বেসরকারি সংস্থা। সোমবার থেকেই গোয়ায় বন্ধ হয়ে গেল সমুদ্র স্নান। ফলে গোয়ার সমুদ্রের ধারে বালির ওপর ঘুরতে পারলেও কেউ আর জলে নামতে পারবেননা।
কেন এমন ফতোয়া? গোয়ার সমুদ্র সৈকতে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে হাওয়ার গতি। ঢুকছে বর্ষা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই গোয়ায় প্রবল বর্ষণ শুরু হবে। ফলে সমুদ্র উত্তাল হবে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সোমবার থেকেই গোয়ার সমুদ্রে নামা বন্ধ করে দিল ওই সংস্থা। সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই জলে নামা। সেইসঙ্গে সমুদ্রে যতরকম জলক্রীড়া হয়, তাও বন্ধ করা হয়েছে। এককথায় কোনও কারণেই আর জলের ধারে কাছে যেতে পারছেন না পর্যটক থেকে স্থানীয় মানুষ কেউ।
গত ১ জুন থেকে গোয়ায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। ফলে গোয়ার সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া দেড় হাজার ট্রলার ২ মাস জলে নামতে পারবে না। ১ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকছে মাছ ধরা। অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল মানুষেরও গোয়ার জল ছোঁয়া। গোয়ার বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে লাল পতাকা দিয়ে পর্যটকদের বোঝানো হয়েছে তাঁরা সমুদ্রের জলে নামতে পারবেন না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা