সকালে গ্রামেরই একটি গাছে ঝুলতে দেখা যায় এক যুবক ও যুবতীর দেহ। গ্রামের সকলেই তাঁদের চেনেন। ছেলেটির নাম ধর্মেন্দ্র। তাঁর সঙ্গে মেয়েটির অনেক দিনের প্রেম। তাঁরা যে একে অপরকে ভালবাসেন তা কারও অজানা ছিল না। আর এটাই মানতে পারছিল না মেয়েটির পরিবার। এমনই দাবি করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, এই কারণেই ২ জনকে মেরে তারপর গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে মেয়েটির পরিবার।
মেয়েটি ধর্মেন্দ্রকে ভালবাসলেও তাঁর পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তারা মেয়ের অন্যত্র বিয়ের ঠিক করে। আগামী ২৫ জুন মেয়েটির বিয়ের কথা ছিল। তার তোরজোরও চলছিল জোরকদমে। কিন্তু সেই বিয়ে হল না। বিয়ে হল না ওই যুগলেরও। একসঙ্গে তাঁদের দেহ অবশ্য মিলল। গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়। তাঁদের দেহ চোখে পড়ার পরই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি তাঁরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার কাইথালিয়া গ্রামে। গ্রামবাসীদের সরাসরি দাবি এটি কোনও আত্মহত্যার ঘটনা নয়। ২ জনকেই মেরে তারপর গাছে ঝোলানো হয়েছে। এটা পরিস্কার অনার কিলিং-এর ঘটনা বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন তাঁরা। ২টি দেহ গাছ থেকে নামিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা