বাইরে থেকে আর ৫টা গ্রামের মতই পরিবেশ। চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এসব গ্রাম ছেড়ে কেন এভাবে পালাচ্ছেন মানুষজন। খুলে দিচ্ছেন গৃহপালিত পশুদের খুঁট। তারাও পালাচ্ছে। কেমন যেন অস্থির অস্থির ভাব করছে গরু, ছাগল, মুরগি। কী এমন হল যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হল? একটু ভাল করে খুঁটিয়ে দেখলেই দেখা যাচ্ছে গ্রামের মেঠো জমির ফাটাফুটি দিয়ে কালো ধোঁয়া বার হয়ে আসছে। আর পা থেকে জুতো খুলে খালি পা জমির ওপর রাখলেই লাফিয়ে উঠতে হচ্ছে উত্তাপে।
গোটা এলাকার জমি গরম চাটুর মত তেতে গিয়েছে। পা রাখলেই মনে হচ্ছে ফোস্কা পড়ে যাবে। খালি পা রাখাই যাচ্ছে না। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার মোহাম্মদি এলাকা জুড়ে এমন ঘটনায় রীতিমত নড়ে বসেছে প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, বাইরে আগুন নয়, আগুন জ্বলছে মাটির তলায়। মাটির তলার সেই আগুনের আঁচে তেতে উঠেছে একের পর এক গ্রামের জমি। আর মাটির তলার আগুন থেকে তৈরি ধোঁয়া বার হয়ে আসছে ফুটোফাটা দিয়ে।
মাটির তলায় এমন আগুন আগে কখনও দেখেননি এই এলাকার বাসিন্দারা। ফলে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন। একই সঙ্গে তাঁদের আতঙ্ক যে মাঠ ভরা ফসল এই আগুনে গরম জমিতে নষ্ট হয়ে যাবে। গ্রামবাসীরা তাড়াহুড়ো করে পালাচ্ছেন কারণ তাঁরা এখন অগ্নুৎপাতের ভয়ও পাচ্ছেন। যদিও বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় এক রাজস্ব আধিকারিক। তাঁর দাবি এটা স্বাভাবিক বিষয়।
মাটির তলায় অনেক সময় গাছপালার ডাল, শুকনো পাতা বহুদিন ধরে জমা হতে থাকে। তারপর একদিন তা পচে যায়। তাতে অনেক সময় আগুন ধরে যায়। সেই আগুন মাটির তলাতেই জ্বলতে থাকে। তবে যে আশঙ্কা থাকে তা হল আগুন খুব বেশি ছড়াতে থাকলে একসময় সেটা আশপাশের জঙ্গলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য অবশ্য স্থানীয় বন আধিকারিক পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা