সাধারণত অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে স্বামীকে চরম পদক্ষেপ করতে দেখা গেছে অনেকবার। কিন্তু এবার উলটপুরাণ। তান্ত্রিকের সঙ্গে স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চাপ দিতে থাকে স্বামী। কিন্তু তাতে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না স্ত্রী। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীতে অশান্তি চরম আকার নিচ্ছিল। স্ত্রীকে তান্ত্রিকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতেই হবে বলে গোঁ ধরে বসেছিল স্বামী। অবস্থা ক্রমশ এমন জটিল হচ্ছে বুঝে বাপের বাড়িতে ফোন করে ভাইকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্যও অনুরোধ করেন আতঙ্কিত স্ত্রী। কিন্তু সেই সুযোগ ভাই আর পেলেন না।
দিনের পর দিন তান্ত্রিক সন্ত দুর্গা দাসের সঙ্গে স্ত্রীকে শুতে বলা সত্ত্বেও তিনি রাজি না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে কাছের নদীর ধারে নিয়ে যায় স্বামী। তারপর ছেলের সামনেই ৩২ বছরের স্ত্রীকে ঠেলে নদীর জলে ফেলে দেয় মনপাল। মাকে এভাবে ডুবে যেতে দেখে ছোট ছেলেটা চিৎকার করতে শুরু করে। সাহায্য চাইতে থাকে। তখন তার বাবা মনপাল তাকে হুমকি দেয় যদি সে সাহায্য চেয়ে চেঁচায় তাহলে তারও তার মায়ের মত পরিণতি হবে। পুলিশ জানাচ্ছে, সে সময় ওই তান্ত্রিকও মনপালের সঙ্গে ছিল। ওই মহিলা ডুবে গেছেন এটা নিশ্চিত হওয়ার পর মনপাল ও তান্ত্রিক ২ জনেই সাঁতরে নদী পার করে উল্টো পারে উঠে পালিয়ে যায়।
ওই মহিলা আতঙ্কে ভাই রাজেশ কুমারকে ফোন করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই রাজেশ সব কথা পুলিশকে জানান। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই মহিলার দেহ নদী থেকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে মনপাল ও তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে ওই তান্ত্রিক আগেও অপরাধমূলক কাজে যুক্ত ছিল। পুলিশের খাতায় তার নাম আগে থেকেই রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা