হাইওয়ের ধারে এখন অনেক জায়গায় বড় হোটেল দেখতে পাওয়া যায়। তেমনই একটি হোটেলের সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিস্কার করতে শনিবার ভোরে কাছের থুভাভি গ্রাম থেকে এসেছিলেন ৪ জন।
মহেশ পাটানওয়াদিয়া নামে এক ৪৭ বছরের ব্যক্তি প্রথমে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কে নামেন। কিছুটা সময় কাটার পর ডাকাডাকিতে সাড়া না দেওয়ায় অশোক হরিজন নামে অপর এক ব্যক্তি ভিতরে ঢোকেন।
তিনিও না বার হওয়ায় ব্রিজেশ হরিজন কি হয়েছে তা জানতে ভিতরে প্রবেশ করেন। তিনিও না বার হলে ঢোকেন মহেশ হরিজন। কিন্তু তিনিও ভিতরেই থেকে যান।
৪ জন ব্যক্তি পরপর সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে ঢুকেও না বার হওয়ায় হোটেলের ৩ কর্মী বিজয় চৌধুরী, সহদেব বাসব এবং অজয় বাসব সেপটিক ট্যাঙ্কে প্রবেশ করেন। কিন্তু তাঁরাও সেই ট্যাঙ্কের মধ্যেই থেকে যান। কাউকেই ডেকে সাড়া পাওয়া যায়নি
এরপর আর ঝুঁকি না নিয়ে পুলিশে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ও দমকল হাজির হয়। দমকলকর্মীরা অবশেষে ওই ৭টি দেহ এক এক করে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে বার করে আনেন।
হোটেলের সেপটিক ট্যাঙ্কটির মধ্যে একটি বিষাক্ত গ্যাস জন্ম নিয়েছিল। এমনটা হয়ে থাকে। সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েই ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু এদিন কেউই তা করেননি।
এদিকে ভিতরে প্রবেশ করতেই নাকে ঢুকে যায় সেই গ্যাস। অচেতন হয়ে পড়তে থাকেন সকলে। পরে তাঁদের মৃত্যু হতে থাকে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের বরোদা জেলার ফারতিকুই গ্রামের পাশে হাইওয়ে লাগোয়া দর্শন হোটেলে। ইতিমধ্যেই হোটেলের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা