বিয়ের পর পাত্রের বাড়িতে ছিল বৌভাতের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কনেপক্ষের লোকজন। রবিবার সন্ধেয় জমে উঠেছিল অনুষ্ঠান। আনন্দে, হাসি, মজায় বিয়ে বাড়ি তখন সরগরম। অনুষ্ঠানে ফুচকার আয়োজন ছিল। কনের এক কাকা সেই ফুচকা খেতে হাজির হন ফুচকা পরিবেশকের সামনে। তাঁকে ফুচকা দিতে বলেন। কিন্তু তাঁর তোতলামির সমস্যা রয়েছে। ফলে পরিবেশক তাঁকে পরিস্কার করে কি চান তা বলতে বলেন। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা।
বচসা ক্রমে বড় আকার নিতে থাকে। কনের কাকার পাশে দাঁড়ান কনেপক্ষের অন্যরা। অন্যদিকে বরপক্ষের লোকজনও জমা হতে থাকেন। অভিযোগ এই সময় বরপক্ষের প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক কনেপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ব্যাপক মারধর করা হয় কনের আত্মীয় পরিজনদের। অনেকেই আহত হন। এঁদের মধ্যে দিলীপ নামে একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত বোকারো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার দুমারাটোলা গ্রামে। এখানেই অবিনাশ দাস নামে এক যুবকের বৌভাতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে সোমবার সকালে ওই এলাকায় পথ অবরোধ করেন কনেপক্ষের আত্মীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পরে অবিনাশ ও তার বাবা হীরালালা দাসকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল সোমবার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা