রাস্তা ভিজে ছিল। তারওপর অপরিসর রাস্তা। পাহাড়ি পথ যেমন হয়। সেখান দিয়েই যাতায়াত। নতুন কিছু নয়। এটাই পথ। এই রাস্তাতেই সারাদিনে অনেক যানবাহন যাতায়াত করছে। কিন্তু যাত্রীবোঝাই বাসের চালক হয়তো আন্দাজ করতে পারেননি বাসটির চাকা এমন জায়গায় পড়বে যে বাস হড়কে যাবে। কিন্তু হল সেটাই। চাকা এমন জায়গায় পড়ল যে যাত্রীবোঝাই বাস গেল হড়কে। হড়কে যাওয়ার ফলে মুহুর্তে তা চলে যায় রাস্তার ধারের গভীর খাদের দিকে। উল্টে যায় খাদে।
খাদে গড়াতে গড়াতে বাসটি পৌঁছয় ৩০০ মিটার নিচে। খাদের ধার বেয়ে বাস গড়াতে থাকে। আর বাসের মধ্যে থেকে আর্তনাদ ভেসে আসতে থাকে। ৩০০ মিটার নিচে এসে যখন বাসটি পড়ে তখন বাসটি কার্যত একটি ধ্বংসাবশেষে রূপান্তরিত হয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে একাকার বাস থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৮ জনকে। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। ২৫ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি থেকে তাঁদের দেহ এক এক করে বার করে আনা হয়। পরে মৃত্যু হয় আরও ১৯ জনের।
বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হিমাচল প্রদেশে। কুলু শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে বঞ্জার নামে একটি দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় ঘটনাটি ঘটে। কুলু থেকে বাসটি গাদা গুয়াইনি যাচ্ছিল। বেসরকারি বাসটি যাত্রীতে বোঝাই ছিল। যাত্রাপথেই দুর্ঘটনা ঘটে। কুলুর হাসপাতালেই আহতদের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ৪৪ জনের মৃত্যু অবশ্যই প্রশাসনকেও চিন্তায় ফেলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা