পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রাজ্যে বিজেপির প্রায় সব কর্মসূচিতেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়। রাজ্যে বিজেপির অন্যতম মুখ কৈলাস বিজয়বর্গীয়। অভিজ্ঞ ও কুশলী রাজনীতিবিদ। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে রাজ্যের মানুষের কাছে বিজেপির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। সেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক আকাশ বিজয়বর্গীয় এদিন হাতে ব্যাট তুলে নিলেন। তারপর বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙতে আসা পুর প্রতিনিধিদের ওপর চড়াও হন সেই ব্যাট নিয়ে। সপাটে চালাতে শুরু করেন ব্যাট। বিধায়ক আকাশ বিজয়বর্গীয়র হাতে মার খেতে থাকেন ইন্দোর পুরসভার ২ আধিকারিক ধীরেন্দ্র ব্যাস এবং অসিত খারে। ব্যাটের বাড়ি পড়তে থাকে তাঁদের ওপর। অবশেষে পুলিশ এসে ২ পুর আধিকারিককে রক্ষা করে।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর ৩-এর বিজেপি বিধায়ক আকাশ। এখানে গাঞ্জি এলাকার কয়েকটি বাড়ি বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছিল পুরসভা। সেখানে বসবাসকারীদের বাড়ি ছেড়ে চলেও যেতে বলা হয়েছে বারবার। নোটিস পাঠানো হয়েছে। কারণ পুরসভার দাবি, বাড়িগুলির যা পরিস্থিতি তাতে এবার বর্ষায় সেগুলি ভেঙে পড়বে। এদিন যে বাড়িগুলি ভাঙতে আসা হবে তাও জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে পুরসভা। সেইমত বুধবার সকালে পুর আধিকারিকরা বাড়ি ভাঙতে এলে তাঁদের পথ আটকান আকাশ ও বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। তারপরই ব্যাট নিয়ে এসে মারতে শুরু করেন আকাশ।
এই ঘটনা সামনে আসার পর বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পুলিশ আকাশ বিজয়বর্গীয়কে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৫৩, ২৯৪, ৫০৬, ১৪৭ এবং ১৪৮ ধারার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যারমধ্যে রয়েছে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, হামলা চালানো ও দাঙ্গা করার চেষ্টা। আকাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, তাঁদের বিজেপিতে শেখানো হয় প্রথমে আবেদন, তারপর নিবেদন আর তারপর ধনধনাধন। অর্থাৎ প্রথমে অনুরোধ, না শুনলে মার। এদিকে আকাশ বিজয়বর্গীয়কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এদিন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা