পরপর বজ্রপাত। ঘন মেঘ থেকে নেমে আসছে বিদ্যুতের ঝলকানি। বজ্রপাতের কর্কশ শব্দে আঁতকে উঠছেন সকলে। সেই বাজ পরা থামার নাম নিচ্ছে না। গত বছর থেকেই অতিরিক্ত বজ্রপাত নিয়ে দেশের বিজ্ঞানীরা গবেষণা শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল আবহাওয়ার পরিবর্তনের হাত ধরেই বাজ পরা বাড়ছে। চলতি বছরেও বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল গত বুধবার। ২৪ ঘণ্টায় বিহারের বিভিন্ন অংশে বজ্রপাত কেড়ে নিল ৩০টি প্রাণ।
বিহারের বিভিন্ন অংশে বাজ পড়েছে। আর সেই বজ্রপাত কেড়েছে একের পর এক প্রাণ। বিহারের ভাগলপুর, বেগুসরাই, পূর্ণিয়া, আরারিয়া, কাটিহার, জামুই, খাগারিয়া, মাধেপুরা, মধুবণী, দ্বারভাঙা, সীতামারি, মিটিগারি ও গয়া জেলা মিলিয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিহার জুড়েই গত বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি কাঙ্ক্ষিত ছিল মানুষের কাছে। কিন্তু বাজ পড়া তাঁদের মধ্যে আতঙ্কের জন্ম দেয়। মৃত্যু হয় ৩০ জন মানুষের। আহত হন ১২ জন। যাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিহারে বর্ষার সময় বজ্রপাতের ঘটনা নতুন নয়। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রচুর বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এবার যেন তার পরিমাণ ইতিমধ্যেই আরও বেড়েছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রাজ্য সরকারের তরফে এই ৩০ জন মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করা হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেছে বিহার সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা