সাধারণত বাঘ সমতলে থাকতে পছন্দ করে। তারা পাহাড়ে ওঠে না। কিন্তু সমতল থেকে ৩ হাজার ৪০০ মিটার উঁচুতে কেদারনাথ পাহাড়ের জঙ্গলে দেখা মিলল বাঘের। সেখানে রাখা লোকানো ক্যামেরায় ওই বাঘ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বাঘটি পুং না স্ত্রী তা পরিস্কার নয় এখনও। তবে ছবি পরিস্কার। আর তাতে বাঘের অস্তিত্বও স্পষ্ট। কীভাবে অত উচ্চতায় বাঘ পৌঁছল, কেনই বা সে ওখানে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ পাহাড়ে রয়েছে কেদারনাথ অভয়ারণ্য। এই জঙ্গলে প্রধানত লেপার্ড ভর্তি। এখানে লেপার্ডদের নিশ্চিন্ত বসবাস এবং বংশবৃদ্ধি। কিন্তু বাঘ এখানে আসার কথাই নয়। ২০১৬ সালে অবশ্য বাঘের ছবি মিলেছিল এই জঙ্গলে। তবে সেই ছবি পরিস্কার ছিল না। কিন্তু এবার ছবি স্পষ্ট আসায় বাঘ যে ওখানে পৌঁছেছে তা পরিস্কার। দেরাদুনের ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে এই উচ্চতায় বাঘ পৌঁছনোর আসল কারণ খুঁজে বার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ অভয়ারণ্যের যথেষ্ট পরিচিতি। এখানে ৩ হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায় বাঘের দেখা নিয়ে চর্চা শুরু হলেও এর আগে ৩ হাজার ২০০ মিটার উচ্চতায় কিন্তু বাঘের দেখা মিলেছিল। সেটা দেখা গিয়েছিল পিথোরাগড় জেলায়। সেখানে বাঘের অস্তিত্ব আগেই মিলেছিল। এবার মিলল পাহাড়ের গায়ে কেদারনাথ জঙ্গলে। এবার যে বাঘটির দেখা মিলেছে তা স্থানীয় নাকি দূর থেকে এখানে এসে হাজির হয়েছে তাও খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই জঙ্গলে বাঘ নেই বলেই জানা ছিল বন দফতরের। সেখানে এমনভাবে বাঘের দেখা মেলায় বেশ অবাক বন দফতরের আধিকারিকরাও।
কেদারনাথ অভয়ারণ্যে প্রচুর সংখ্যক লেপার্ড থাকলেও এই অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছিল অন্য একটি প্রাণিকে রক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে। হিমালয়ান মাস্ক ডিয়ার হল সেই প্রাণি। ক্রমশ বিলুপ্ত হতে বসা এই প্রজাতির হরিণকে এই জঙ্গলে লালন পালন শুরু করে সরকার। এখানে তাদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় তৈরি হয়। হয়ত এত হরিণ থাকায় খাদ্যের লোভে লেপার্ডরা এখানে হাজির হয়। কিন্তু পাহাড়ের অনেকটা ওপরে হরিণ শিকারের জন্য বাঘ উঠে আসবে কিনা এটা এখনও পরিস্কার নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা