স্বামী, পুত্র রয়েছে। ভরা সংসার। তারপরেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন পিঙ্কি নামে এক যুবতী। তারই ভয়ংকর পরিণতি হল বৃহস্পতিবার। সানি নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাদের মধ্যে এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক প্রগাঢ়ও হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বাড়ি পরিবর্তনের পর পিঙ্কি এই সম্পর্কে ইতি টানতে চাইছিলেন। সেকথা সানিকে নাকি জানিয়েছিলেনও। কিন্তু সম্পর্ক শেষ করতে রাজি ছিল না সানি।
সম্প্রতি স্বামী ও পুত্রকে নিয়ে নতুন বাড়িতে এসেছিলেন পিঙ্কি। দিল্লির চিরাগ দিল্লি এলাকায় নতুন বাড়িতে এদিন একাই ছিলেন তিনি। সকাল তখন ৯টা ৫০। পুলিশের কাছে একটি ফোন যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। বাড়িতে হাজির হয়ে পুলিশ দেখে পিঙ্কির গলায় ছুরির কোপ পড়েছে। অদ্ভুতভাবে তাঁর প্রেমিক সানির ঘাড়েও ছুরির কোপ পড়েছে। দ্রুত দুজনকেই এইমসে পাঠায় পুলিশ। সেখানে মৃত্যু হয় পিঙ্কির। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে সানি।
তদন্ত নেমে পুলিশ জানিতে পেরেছে স্বামী, পুত্র থাকা সত্ত্বেও সানির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ২৪ বছরের পিঙ্কি। পেশায় বিউটিশিয়ান পিঙ্কির সেই সম্পর্ক ছাড়তে চাওয়া। সানির তাতে আপত্তি থাকা। সেই রাগ থেকে পিঙ্কিকে ছুরির কোপ এই পর্যন্ত সব বোঝা গেল। কিন্তু পুলিশের কিছুতেই মাথায় ঢুকছে না সানির ঘাড়ে ছুরির কোপটা কে মারল। সে নিজেই কী তবে আত্মহত্যার চেষ্টা করে? নাকি অন্য কেউ, কোনও তৃতীয় ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটায়?
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে যখন এই পুরো ঘটনা ঘটে তখন বাড়িতে একাই ছিলেন পিঙ্কি। স্বামী-পুত্র বাড়িতে ছিল না। ফাঁকা বাড়িতেই সানির সঙ্গে হয়তো তাঁর বচসা হয়। তারপরই এমন কাণ্ড ঘটে। তাহলে ফাঁকা বাড়িই যদি হবে তবে সানিকে কেউ কোপ মারল কীভাবে? নাকি তখন ঘরে অন্য কেউও হাজির ছিল? আপাতত সেই রহস্যের জট ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা