এটা তাদের যাতায়াতের পথ। আর সেই পথে কোনও বাধা সহ্য করবে না তারা। এটা বেশ পরিস্কার ভাবে বুঝিয়ে দিল একপাল হাতি। প্রায় ১ ডজন হাতির একটি দল জঙ্গলের এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করে। পরিভাষায় যাকে বলা হয় হাতিদের করিডর। আর সেখানেই কিনা দাঁড়িয়ে একাধিক গাড়ি। গাড়িকে পাশ কাটিয়ে কিনা যেতে হবে গজপতিদের। তাও আবার নিজেদের রাজ্যেই। নাহ, এটা তারা মেনে নেয়নি। তাদের রাস্তা দিয়ে তারা সোজা রাজার মতই যাবে।
হস্তিকুলের সেই রাজকীয় চালে আখেরে সর্বনাশ হয়েছে গাড়িগুলির। কারণ গাড়ির এই চরম স্পর্ধা সহ্য না করে রাগে হাতির দল পদাঘাত করতে থাকে গাড়িগুলিতে। শুঁড় দিয়েও ধাক্কা মারা হয়। ঠেলতে ঠেলতে গাড়িগুলিকে রাস্তার ধারের নিচু এলাকায় ফেলে দেয় তারা। তারপর যখন বুঝতে পারে তাদের রাস্তা পরিস্কার হয়ে গেছে, তখন সেখান থেকে ফের দুলকি চালে হাঁটা লাগায়। যেন কিছুই হয়নি। ততক্ষণে গাড়িগুলির অবশ্য যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের করবেট টাইগার রিজার্ভে। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল। হাতিদের এই নিঃশব্দ তাণ্ডবে কার্যত গোটা দেশ চমকে উঠেছে। যদিও রামনগরের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার ভিপি সিং দোষটা গাড়ি যাঁরা রেখেছিলেন তাঁদেরকে দিয়েছেন। তিনি সাফ জানান, ওটা হাতিদের করিডর। ওখান দিয়ে তারা যাতায়াত করে। সেখানে কোনও বাধা দেওয়া উচিত নয়। অথচ পর্যটকরা যাঁরা গাড়ি নিয়ে ঢুকছেন তাঁরা অনেক সময়ই গাড়ি যেখানে সেখানে পার্ক করে দেন। ফলে সমস্যা হয় পশুদের। পর্যটকদের তাঁদের সুরক্ষার দিকটাও মাথায় রাখা উচিত বলে জানান ডিএফও।
হাতির পাল অবশ্য গাড়িগুলি ঠেলে ফেলে দিলেও কোনও পর্যটকের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে হতেই পারত বলে মনে করছেন ভিপি সিং। বিখ্যাত শিকারি জিম করবেটের নামাঙ্কিত করবেট টাইগার রিজার্ভের একটি অংশ হল করবেট ন্যাশনাল পার্ক। যা আজও দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা