সর্বক্ষণ তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে আছে। ২ জায়ের ঝগড়ায় বাড়িতে টেকা দায় হয়। নিজেদের মধ্যে ২ জনে ঝগড়া তো করেনই, সেইসঙ্গে স্বামীকেও ছাড়েন না। ২ বউয়ের মাঝে পড়ে সর্বক্ষণ খিটির মিটির শুনতে হয় তাকেও। একদিন দুদিন নয়, এ একেবারে টানা চলে আসছে। নিত্যদিনের ঝগড়া। ২ বউ ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঝগড়া শুরু করেন। যা প্রতিবেশিদেরও অজানা নয়। এই প্রতি দিনের অশান্তি আর সহ্য করতে পারেনি জামশেদ আলম। অসহ্য হয়ে উঠেছিল। ঝগড়ার চিরসমাপ্তি ঘটাতে রেগে ২ বউকে একসঙ্গে গলা টিপে হত্যা করল সে। ২ বউকে হত্যার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লিতে। এখানকার বাসিন্দা জামশেদ আলমের ২ স্ত্রী ইসমত পরভিন ও জাবনা-র মৃত্যু হয় স্বামীর হাতে। ঘটনাটি ঘটে গত ২৭ জুন। ২ স্ত্রীকে হত্যা করে সেখান থেকে চম্পট দেয় জামশেদ। দিল্লি ছেড়ে পালায় নিজের দেশের বাড়ি বিহারে। এদিকে পুলিশ তদন্ত শুরু করে হাজির হয় বিহারে। জামশেদের খোঁজ করতে বিহারে পুলিশ আসার পরই সে ফের দিল্লি ফিরে যায়।
ফলে পুলিশ বিহারে তাকে না পেয়ে ফের দিল্লি ফিরে আসে। তবে তদন্ত চালিয়ে যায়। জামশেদের খোঁজ চালাতে থাকেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে জামশেদ। এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ। দিল্লির বরা হিন্দু রাও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের কাছে জামশেদ স্বীকার করেছে যে সেই তার ২ স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেছে। ২ স্ত্রীয়ের নিত্যদিনের ঝগড়ায় সে অতিষ্ঠ হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে জামশেদ। প্রথমে সে প্রথম স্ত্রী ইসমত পরভিনকে হত্যা করে। তারপর জাবনাকে হত্যা করে। তারপর দরজা বন্ধ করে সেখান থেকে বিহারে চম্পট দেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা