হাসপাতালে রোগী ভর্তি। চিকিৎসক থেকে নার্স, সকলেই ব্যস্ত রোগী পরিষেবায়। হাজির রোগীর চিন্তিত পরিজনেরাও। সেখানেই সব কাজ মুহুর্তে স্তব্ধ করে দিল একটি লেপার্ড। গত রবিবার সকালের ঘটনা। ব্যস্ত হাসপাতালে ঢুকে পড়ে লেপার্ডটি। হাসপাতালের ২ কর্মীকে জখমও করে। তারপর একটি ঘরে ঢুকে যায়। এদিকে হাসপাতালে লেপার্ড আসায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসক থেকে নার্স সকলেই কাজ বন্ধ করে দেন। সকলেই আতঙ্কে। এই বুঝি তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল শ্বাপদটি।
উত্তরাখণ্ডের শ্রীনগর গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে তখন সকলেই ভয়ে বিভিন্ন সুরক্ষিত জায়গায় খোঁজে। দ্রুত খবর যায় বন দফতরে। বন দফতরের আধিকারিকরা সেখানে দ্রুত হাজির হন। হাসপাতালে রোগী পরিষেবা যদি বন্ধই হয়ে যায় তাহলে তো বিপদ। ফলে লেপার্ডটিকে চিহ্নিত করে শুরু হয় তাকে পাকড়াও করার চেষ্টা। বন দফতরের আধিকারিকরা লেপার্ডটিকে প্রথমে ঘুমের ওষুধের ট্র্যাঙ্কুলাইজার দিয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সে চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়।
লেপার্ডটিকে কব্জায় আনতে যখন হিমসিম খাচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা তখনই আচমকা তাঁদের দিকে তেড়ে আসে লেপার্ডটি। এরপর আর ঝুঁকি নেননি তাঁরা। বাধ্য হয়ে গুলি চালান। নিজেদের আত্মরক্ষায় গুলি চালাতে তাঁরা বাধ্য হন বলে দাবি করেছেন বন কর্মীরা। গুলিতে মৃত্যু হয় লেপার্ডটির। লেপার্ডটি মৃত এই খবর পাওয়ার পর হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে রোগী সকলেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।
বন্য প্রাণিদের গুলি করে হত্যা করা নিষেধ। এ কাজ বেআইনি এবং শাস্তি যোগ্য। কিন্তু এক্ষেত্রে নিজেদের আত্মরক্ষার বিষয়টি সামনে এনেছেন বন কর্মীরা। তবু পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক কি পরিস্থিতিতে তাঁরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালে লেপার্ড ঢুকে পড়ার বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও চিন্তিত। কারণ হাসপাতালের মত জায়গায় এ ধরণের আতঙ্ক তৈরি হওয়া রোগীদের জন্য মোটেও ভাল খবর নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা